মোঃ ছাবির উদ্দিন রাজু বিশেষ প্রতিনিধিঃ
কিশোরগঞ্জের ভৈরব রেলস্টেশন জংশন এখন অপরাধীদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিন কোন না কোন ঘটনা ঘটেই যাচ্ছে। মোবাইল, মানিব্যাগ প্রতিদিন খোয়া যাচ্ছে । দেশের গুরুত্বপূর্ণ যান ভৈরব রেলওয়ে জংশন।এখানে প্রতিদিনই পুলিশের সামনেই ফ্রি স্টাইলে টিকিট বিক্রয় করছে কালোবাজারিরা । এ দৃশ্য দেখা যায় সকাল থেকে রাত পর্যন্ত। যাত্রীদের ভীড়ে রেলওয়ে পুলিশ, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী ও আনসার সদস্যদের দায়িত্ব পালন করলেও দমন পীড়নের কোন বালাই নেই। অপরাধীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সখ্যতা রয়েছে বলেও জানায় অনেক ভুক্তভোগী যাত্রী। তবে পুলিশ বলছে কেউ অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ষ্টেশন এলাকায় সন্ধ্যার পর মিনি পতিতালয়ে পরিণত হয়। অতিরিক্ত টাকা দিলে টিকেট পাওয়া যায়। সড়ক পথে অধিক যানঝটের কারণে রেলপথে যাতায়াত বেশি পছন্দ করে। ভৈরব রেলস্টেশন দিয়ে সিলেট, চট্টগ্রাম,কিশোরগঞ্জ,ময়মনসিংহ গামী ট্রেনে যাত্রী চলাচল বেশি। প্রতিদিন এ রেল জংশন দিয়ে হাজার হাজার যাত্রী যাতায়াত করে। কাউন্টারে সামনেই প্রকাশ্য কালোবাজারিরা টিকেট বিক্রি করে বলেও জানায় যাত্রীরা। আইন শৃংখলা বাহিনীর সামনে টিকিট বিক্রি করলেও যেন দেখার কেউ নেই। স্টেশনের ভেতরে বাইরে পানের দোকানে মিলে টিকিট। এদিকে ট্রেনে উঠার সময় প্রতিদিন কোন না কোন মোবাইল, মানিব্যাগ নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটে প্রতিদিন। তবে পুলিশ বলছে তাদের কাছে কেউ অভিযোগ দেয় না। এতে করে যাত্রীদের চরম সমস্যা পোহাতে হচ্ছে। যাত্রী মিলছে টিকেট পাওয়া যায়না। আবার অতিরিক্ত টাকা দিলে কালোবাজারি নিকট থেকে টিকিট পাওয়া যায় ঠিকই। ভৈরব স্টেশন এখন যেন হ য ব র ল। এদিকে বিভিন্ন ট্রেন ভৈরব রেলস্টেশনে যাত্রা বিরতি করণে মাদক ব্যবসায়ীরা নিরাপদে তা নিয়ে বিক্রি করে বিনা বাধায়। মাঝে মধ্যে ভৈরবের চিহ্নিত কিছু মাদক বেপারী স্টেশনের প্লাটফরমের ভেতর চেয়ার নিয়ে বসে থাকতে দেখা যায়। ভৈরব রেল স্টেশন এখন পকেটমার, পতিতা, টানাপার্টি তাদের দ্বারা যাত্রী হয়রানী হলে বিচার মিলে না কোথায়ও। গত বৃহস্পতিবার ভৈরব বাসস্ট্যান্ডের ব্যবসায়ী হেলাল মিয়ার সঙ্গে কথা হয়। তিনি জানান, তার কলেজ পড়ুয়া ছেলে ঢাকা যাওয়ার পথে ভৈরব রেলস্টেশনে ট্রেনে উঠার সময় পকেটমার তার ১৫ হাজার টাকার মোবাইল সেট নিয়ে যায়। বিষয়টি রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে জানানো হলে কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি। একই পরিস্থিতি আশে পাশের ষ্টেশন গুলোতে। পকেটমারের হাত থেকে কিছু দিন আগে রেহাই পাননি ভৈরব উপজেলা নির্বাহী অফিসার। লোকলজ্জার ভয়ে তিনি বিষয়টি বলতে চাননি। ভৈরব রেলওয়ে থানার ওসি বলেন, স্টেশন এলাকায় সিসি ক্যামেরা আছে, কেউ অভিযোগ দিলে তা পর্যবেক্ষণ করে দেখা হবে। তিনি অভিযোগ না দিলে ব্যবস্থা নেয়ার কোন সুযোগ নেই।কিন্তু ভুক্তভোগী যাত্রীরা পরিত্রাণ পেতে চাই এই সব হয়রানী কারীদের হাত থেকে।