মোঃ ছাবির উদ্দিন রাজু ভৈরব কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
ভৈরবে ২ ভাই গড়ে তুলেছেন দুম্বার খামার। খামার করে লাভবান হওয়ায় আশপাশের লোকজনসহ খামার দেখতে দুর দুরান্ত থেকে অনেকেই ছুটে আসছেন এবং পরামর্শ নিচ্ছেন নতুন খামার করার ।
ভৈরবের চানপুর গ্রামে মামাতো ও ফুফাতো সবুজ ও সোহরাব ২ ভাই গড়ে তুলেছেন দুম্বার খামার। ২০১৮ সালের শুরুতেই ১০ লাখ টাকা পুজিঁ নিয়ে মাত্র ৭টি দুম্বা নিয়ে খামার শুরু করলেও এখন তাদের খামারে ছোট-বড় ৪০টি দুম্বা রয়েছে । মাত্র কয়েক বছরের ব্যবধানে এরই মধ্যে বেশ কিছু দুম্বা ক্রয়-বিক্রয় করে বেশ লাভবান হয়েছে তারা । যে কোন ধরনের ঘাস খায় দুম্বা। তবে গো-খাদ্যর দাম বেড়ে যাওয়ায় উপজেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর থেকে সাইলেজ প্রযুক্তিতে খাদ্যর উপর প্রশিক্ষণ নিয়ে সবুজ। এ পদ্বতিতে দুম্বা লাল-পালন করায় খরচ অনেকটা কমে গেছে।
এছাড়া প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর থেকে রোগ প্রতিরোধে বিনামূল্যে পিপিআর টিকাসহ বিভিন্ন ধরনের সার্বিক সহযোগিতা ও পরামর্শে দুম্বা লালন –পালন করাই রোগ বালাই নেই বললেই চলে। দুম্বা বছরে ২ বারে ২টি বাচ্চা প্রসব করে থাকে। একেকটি দুম্বা আকার ভেদে দেড় / ২ লাখ টাকায় বিক্রি হয় । তবে কোরবানীর ঈদ উপলক্ষ্যে সব থেকে বেশি বিক্রি করে থাকেন। দুম্বা ক্রয় বিক্রির জন্য খামারী সবুজ মিয়া অনলাইনে এবং নিজস্ব পেজে ও বিক্রির অর্ডার নিয়ে থাকেন।
এ বিষয়ে খামারী সবুজ মিয়া ও সোহরাব মিয়া জানান, ১০ লাখ টাকা পুজিঁ দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যেও মরুভ’মির প্রাণী মাত্র ৭টি দুম্বা কিনে তারা খামার শুরু করেন। এখন তাদেও খামাওে ৪০টি দুম্বা রয়েছে। এরই মধ্যে বেশ কিছু দুম্বা কেনা-বেচা করে লাভবান হয়েছেন। এ খামারের আয় দিয়েই চলে তাদের সংসার। প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে লোকজন আসে খামার দেখতে খামার গড়তে পরামর্শ নিতে ।তারা ও পরামর্শ দিচ্ছেন যেন সারাদেশে দুম্বার খামার গড়ে উঠে।
এ বিষয়ে ভৈরব উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মনিরুজ্জামান তরফদার জানান, দুম্বা পালনে গো-খাদ্যর দাম বেড়ে যাওয়ায় খামারী সবুজ মিয়াকে সাইলেজ প্রযুক্তির প্রশিক্ষণ প্রদানসহ সব ধরনের সহযোগিতা ও পরামর্শ প্রদান করা হয়ে থাকে । সাইলেজ প্রযুক্তিতে খাবার খাওয়ানোর ফলে খরচ অনেক কমে যায় । এছাড়া দুম্বা গুলোকে সুস্থ ও সবল রাখতে বিনামূল্যে পিপিআর টিকাসহ ভ্যাকসিন প্রদান করা হয়ে থাকে । তার এ দুম্বার খামার দেখতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে অনেকেই খামার দেখতে ও পরামর্শ নিতে আসে। আমরা ও উদ্যোক্তা খামারীর কাছে প্রশিক্ষণের জন্য যোগাযোগ করিয়ে দেয়। দুম্বার খামার করে তারা লাভবান হওয়ায় বর্তমানে অনেকেই দুম্বার খামার করতে আগ্রহী হয়েছেন ।