জয়নাল আবেদীন রিটন, বিশেষ প্রতিনিধি :
র্যাব-১৪, সিপিসি-৩ ভৈরব ক্যাম্প এর কোম্পানী অধিনায়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিউদ্দীন মোহাম্মদ যোবায়ের এর নেতৃত্বে উপজেলা নবীনগরের কৃষ্ণনগর গ্রামের চাঞ্চল্যকর পা কাটা মোবারক হত্যার প্রধান সহযোগী আাসামী জুয়েল (৩৫) কে আটক করা হয়েছে। আটককৃত জুয়েল উপজেলার উত্তর লক্ষীপুর গ্রামের জীবন মিয়ার ছেলে। সোমবার (২০ এপ্রিল ) সন্ধা সাতটার সময় ব্রাহ্মণ বাড়িয়ার আশুগঞ্জ থানাধিন তারুয়া গ্রাম থেকে আটক করা হয়। সে মোবারক হত্যা মামলার এজাহার নামীয় প্রধান সহযোগী আসামী।
র্যাব জানায় , বিশ্ব ব্যাপি করোনা ভাইরাসের কারণে লকডাউন থাকা সত্তে¡ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলার নবীনগর থানাধীন কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের কাউসার মোল্লা গ্রুপ এর সাথে জিল্লুর রহমান চেয়ারম্যান এর গ্রুপের মধ্যে এলাকায় আধিপত্ত বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘ দিন যাবৎ শত্রুতা চলিয়া আসিতেছে। এরই প্রেক্ষিতে গত ১২ এপ্রিল ২০২০ ইং তারিখ জিল্লুর রহমান চেয়ারম্যান এর গ্রুপের সদস্যরা কাউসার মোল্লা এর গ্রুপের সদস্যদের ঘর-বাড়ি পুড়িয়ে দেয়। পরবর্তীতে কাউসার মোল্লা এর গ্রুপের সদস্যরা জিল্লুর রহমান চেয়ারম্যান এর গ্রুপের ঘর-বাড়ি পুড়িয়ে দেয়। দুই গ্রুপের সংঘর্ষের এক পর্যায় বীরগাও ইউনিয়নের কবির চেয়ারম্যান এর ইন্দনে কাউসার মোল্লা গ্রুপের রোমান, জুয়েল, খোকন, জাবেদ, জাকির ও আব্বাস মিলে জিল্লুর রহমান চেয়ারম্যান এর গ্রুপের মোঃ মোবারক হোসেন এর পা কেটে আনন্দ মিছিল করে। উক্ত সংঘর্ষে দুই গ্রুপের ৩০ জন আহত হয়। পা কাটা মোঃ মোবারক হোসেন’কে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয় হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৪ এপ্রিল মৃত্যু বরণ করেন। আটককৃত আসামীকে নবীনগর থানায় সোপর্দ করা হয়।