রিপোর্ট, মো: রফিকুল ইসলাম রুবেল!!
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের আসন্ন উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মো: আবু আসিফ আহমেদ গত শুক্রবার থেকে নিখোঁজ রয়েছেন। আর এক সপ্তাহ ধরে নির্বাচনী মাঠ ছাড়া হয়ে গেছেন আসিফের কর্মী সমর্থকরা। আসিফের বাসায় তল্লাশি চলার কথাও বলছেন স্বজনরা। ভোটারদের কাছে যেতে পারছেন না আসিফের কোন কর্মী। আসিফের স্ত্রীকে মুঠোফোনে হুমকি দেয়ার অভিযোগও ওঠেছে। বিষয়গুলো নিশ্চিত করেছেন আসিফের পারিবারিক সূত্র। তারা বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে ৭৮-৮০ ভাগ ভোট পেয়ে জয়লাভ করবেন।
পারিবারিক সূত্র জানায়, স্বতন্ত্র প্রার্থী আসিফ গত ৭-৮ দিন পূর্ব থেকেই চাপে ছিলেন। এরই মাঝে তার প্রধান কর্মী মুসাকে (৮০) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ওই রাতেই নিখোঁজ হয়ে যায় নির্বাচনের সমন্বয়কারী আসিফের শ্যালক শাফায়েত সুমন। এরপর থেকেই অস্বস্তিতে ছিলেন আসিফের নির্বাচনী মাঠের সকল কর্মী সমর্থকরা। আসিফের বাস ভবনের চারদিকে দিনরাত বসে থাকেন অপরিচিত লোকজন। আসিফের কর্মীরা কোথায় যায়? বাসায় কে আসল? বাসা থেকে কে গেল? এইসব দেখেন। আবার ছবিও তুলেন। আসিফের স্ত্রী গোপনে নির্বাচনী প্রচারণা করতে গিয়েও বিপাকে পড়েন। পরিবারের সদস্য থেকে শুরু মাঠের কর্মীরা নিয়মিত হয়রানির শিকার হচ্ছেন। গত শুক্রবার থেকে নিখোঁজ হয়ে গেছেন প্রার্থী আবু আসিফ আহমেদ। আতঙ্ক উৎকন্ঠায় পড়ে যান আসিফের মাঠের কর্মীরা। এক সময় নির্বাচনী এলাকার মাঠ ছেড়ে চলে যায় সকল কর্মী সমর্থকরা। আসিফের প্রচারণা এখন নেই বললেই চলে। পরিবারের সদস্যরা ভীত সন্ত্রস্ততার মধ্যে বিষয়গুলো গণমাধ্যমে জানিয়েছেন। তবে আসিফ নিখোঁজের বিষয়টি এখনো থানায় জিডিও করেননি তাঁর পরিবার। আসিফের ভাগিনা পরিচয় দিয়ে ইমন (২৫) নামের এক যুবক গণমাধ্যমে মুঠোফোনে জানান, প্রচারণা করার সময় মামাকে (আসিফ) কিছু লোক হুমকি ধামকি দিয়েছেন। ভয়ে তিনি দ্রুত চলে এসেছেন। গত শুক্রবার থেকে তো মামাকে পাওয়াই যাচ্ছে না। নির্বাচনী এলাকার সর্বত্রই আমাদের কর্র্মীরা মাঠে নামতে পারছেন না। অনেক ভয়ে এলাকা ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছেন। এভাবে নির্বাচন হতে পারে? একজন প্রার্থী নির্বাচনী মাঠে কাজ করতে পারবেন না। এটা কেমন নির্বাচন? আমরা খুবই মানসিক যন্ত্রণায় আছি। আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান আবু আসিফ নিখোঁজ কি না তা আমাদের জানা নেই তবে পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ দিলে বা নিরাপত্তার বিষয়ে আমাদের অবগত করলে আমরা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব। আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অরবিন্দ বিশ্বাস বলেন, আমরা এমন অভিযোগ এখনো পায়নি। তারা লিখিত অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নিব। উল্লেখ্য যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপ-নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে মটরগাড়ী (কার) মার্কা নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন মো: আবু আসিফ আহমেদ।