এ.আর. মুশফিক: বৃষ্টিতে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনাল পরিত্যক্ত হওয়ার পর আফগানিস্তান ছুটল হোটেলের পথে। রাতেই ধরতে হবে কাবুলের বিমান। বাংলাদেশ দল তখন মিরপুর শের-ই-বাংলায়। দুই দলে বিভক্ত হয়ে চলল ফুটবল যুদ্ধ। কী সিরিয়াস সেই যুদ্ধে! এ ওকে পাস দেয়। আরেকজন ট্যাকেল করে। দুর্দান্ত সব পাস। দুরন্ত সব ট্যাকেল। মনে হচ্ছিল শিরোপা ভাগাভাগি করে বেশি খুশি বাংলাদেশ শিবির!
বাইলজ অনুযায়ী টুর্নামেন্টের ফাইনালে ‘নো রেজাল্ট’ হওয়ায় যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হয় দুই দলকে। তাতে প্রথমবারের মতো বহুজাতিক কোনো টুর্নামেন্টের ফাইনালে যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন হলো বাংলাদেশ। রাত ৯টা পর্যন্ত ম্যাচ চালাতে অপেক্ষা করেছিলেন আম্পায়াররা। কিন্তু তখনো বৃষ্টি থামার নাম-ই নেই। বিকেল পাঁচটায় শুরু হওয়া বৃষ্টি ঝরল পুরোটা
বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের হাত থেকে যখন সাকিব ও রশিদ খান ওভাই সিরিজের ট্রফি গ্রহণ করছিলেন, তখনো বৃষ্টি ঝরছিল মিরপুরে। বেরসিক বৃষ্টিতে পণ্ড হলো ফাইনালের রোমাঞ্চ। বৃষ্টি মাথায় নিয়ে মাঠে এসেছিলেন প্রায় হাজার দশেক দর্শক। ফাইনালের জন্য ছটফট করছিলেন তারা। একটু পর পরই শোনা যাচ্ছিল তাদের গর্জন। সেই গর্জন বৃষ্টি থামানোর আর্তনাদ। কিন্তু প্রকৃতি বড়ই নিষ্ঠুর। ফাইনালের মঞ্চে থামেনি বৃষ্টি।
বৃষ্টির বাধায় বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান এককভাবে নিজেদের করে নিতে পারেনি ত্রিদেশীয় সিরিজের ট্রফি। হয়তো আক্ষেপ করছে দুই দলই। বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে আফগানিস্তানের রেকর্ড দারুণ। আর শেষ দুই ম্যাচে নিজেদের সেরা ক্রিকেট উপহার দিয়েছে বাংলাদেশ। শ্রেষ্ঠত্বের মঞ্চে শুধু শিরোপাই ভাগাভাগি হলো না, রোমাঞ্চ নষ্ট করে ফাইনাল জিতল বৃষ্টি।