মোশারফ হোসেন শ্যামল,বিশেষ প্রতিনিধি : গত ১০ আগস্ট কিশোরগঞ্জ জেলার কুলিয়ারচর থানাধীন ফরিদপুর ইউনিয়নের খাঁ বাড়ীর আবুল কালাম খাঁন (৩৮) নামে এক যুবককে রহস্যজনক কারনে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার পর বেলাব থানার চর বেলাব গ্রামের কুলিয়ারচর যাওয়ার খেয়া ঘাটে কে বা কারা ফেলে রেখে চলে যায়। সকাল ৬.৩০ ঘটিকায় নিহত কালামের পরিবারবর্গ খবর পায়। পরে বেলাব থানা পুলিশ খবর পেয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নরসিংদী মর্গে প্রেরণ করে। কালামের তিনটি ছেলে সন্তান রয়েছে। তন্মধ্যে বড় সন্তান প্রতিবন্ধী।
পারিবারিক ভাবে জানাযায়, বাংলাদেশ দুগ্ধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান “মিল্ক ভিটা”র মীরপুর অফিসে চাকরি করত কালাম। মায়ের অসুস্থতার খরব পেয়ে চিকিৎসা করানোর জন্য বাড়ি আসে। বাড়িতে মাকে দেখে ফরিদপুর মাজার মার্কেটের মা ফার্মেসীর রোমান মিয়ার সাথে বেলাব গিয়ে রোমান ফিরে আসলে মায়ের বুকে ফিরে আসেনি কালাম।
নিহত কালামের বড় ভাই তাহের খাঁনের নিকট এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রাত আনুমানিক সাড়ে আটটার দিকে রোমান, আমার ভাই ও আমি এক সাথেই বসা ছিলাম। পরে রোমানের সাথে বেলাব গিয়ে আমার ভাই আর ফিরে আসেনি। আমার জানা মতে আমার ভাইয়ের কোন শত্রু নেই। সে অত্যন্ত মিশুক প্রকৃতির ও নম্র ভদ্র। কারো সাথে তর্কবিতর্কের ঘটনাও শুনিনি। কে বা কারা আমার ভাইকে এমন নির্মম ভাবে হত্যা করেছে আমি জানি না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনৈক ব্যক্তি বলেন, দীর্ঘদিন যাবত চর বেলাব নামক স্থানে তানিয়া নামে এক মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল শুনেছি। প্রেম বা পরকিয়ার জন্যই হত্যা কাণ্ডটি ঘটে থাকতে পারে বলে জানান তিনি।
ঔষধ ব্যবসায়ী রোমান মিয়া বলেন, গত বৃহসপতিবার রাতে কালাম ভাই তার মায়ের চিকিৎসার ব্যাপারে আমার সাথে কথা বললে, আমি ভৈরব একটি স্থানীয় হাসপাতালে সিরিয়াল দিয়ে দিই। পরে আমার প্রয়োজনীয় কাজে বেলাব যাওয়ার কথা শুনে তিনি তার ব্যক্তিগত কাজে সাথে বেলাব যাওয়ার অনুরোধ করলেন। আমি সাথে করে নিয়ে যায়। আসার পথে বাড়ি ফেরার কথা বললে কাজের অজুহাতে তিনি বেলাব থেকে যান।সকাল বেলা কালাম ভাইয়ের মৃত্যুর খবর শুনে আমি খুব মর্মাহত হই। কালাম ভাইকে যারা নির্মম ভাবে হত্যা করেছে, তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট তাদের শাস্তি দাবি করছি।
বেলাব থানার ওসি (তদন্ত) আরিফুর রহমান আরিফ মুঠোফোনে জানান, অর্থনৈতিক লেনদেন কিংবা পরকিয়ার কারনে ঘটনাটি ঘটে থাকতে পারে। বিভিন্ন দিক থেকে নানা ধরনের বিষয় শুনছি। এখন পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি। এবিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। রিপোর্ট তৈরীর পূর্ব পর্যন্ত কোন মামলা হয়।