আন্তর্জাতিক ডেস্ক : কাশ্মীর প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে মধ্যস্থতা করার জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অনুরোধ প্রসঙ্গে সম্পূর্ণ বিপরীত মন্তব্য করেছে দুই দেশের সরকার। ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট বানিয়ে কিছু বলেননি। আর ভারত সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, ট্রাম্পকে মধ্যস্থতার কোনো অনুরোধই করেননি মোদি।
সোমবার হোয়াইট হাউসে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে বৈঠকে কাশ্মীর নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে মধ্যস্থতা করার আগ্রহ প্রকাশ করেন ট্রাম্প। তার দাবি, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিই তাকে সপ্তাহ দুয়েক আগে মধ্যস্থতা করার জন্য অনুরোধ করেছেন। ট্রাম্পের এই মন্তব্যের পর ভারতের বিরোধী দলগুলো সরকারের কাছে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দাবি করে। এর কারণ হচ্ছে, কাশ্মীর সমস্যাকে ভারত বরাবরই ‘দ্বিপাক্ষিক সমস্যা’ মনে করে এবং এ বিষয়ে তৃতীয় কোনো পক্ষকে জড়াতে চায় না।
মঙ্গলবার ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কর জানান, কাশ্মীর নিয়ে ট্রাম্প ও মোদির মধ্যে কোনো আলোচনা হয়নি। তবে দেশটির বিরোধী দলগুলো পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এই বক্তব্য মেনে নিতে পারেনি। তারা সরাসরি মোদির কাছ থেকে এর জবাব দাবি করেছে। অবশ্য এ প্রসঙ্গে মোদি এখনো নীরব আছেন। বুধবার একই ইস্যুতে লোকসভায় হট্টগোল শুরু হলে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, ‘আমরা কখনোই দেশের আত্মসম্মানের সঙ্গে আপোষ করব না। গত জুনে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এ বিষয় নিয়ে কোনো আলোচনাই হয়নি। কাশ্মীর নিয়ে মধ্যস্থতার কোনো প্রশ্নই নেই।’
এদিকে, মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্পের প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ল্যারি কাডলোকে প্রশ্ন করা হয়, মোদির অনুরোধের বিষয়ে ট্রাম্প যে মন্তব্য করেছেন, তা ‘বানিয়ে বলা’ কি না। এর জবাবে কাডলো বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট বানিয়ে কিছু বলেন না।’