বিশেষ প্রতিবেদন

জাল নোট ঠেকাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ১১ নির্দেশনা

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীসহ সারা দেশের উপজেলা সদরের সব কোরবানির পশুর হাটে জাল নোট ঠেকাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ১১টি নির্দেশনা দিয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক মঙ্গলবার প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ তথ্য জানায়। একই সঙ্গে এ প্রজ্ঞাপন সব বাণিজ্যিক ব্যাংকেও পাঠানো হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে ১১টি নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে-

 

১. জাল নোট শনাক্তকারী মেশিনের সহায়তায় অভিজ্ঞ ক্যাশ কর্মকর্তা দিয়ে কোরবানির হাট শুরুর দিন থেকে ঈদের আগের রাত পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে পশু ব্যবসায়ীদের বিনা খরচে নোট যাচাইসংক্রান্ত সেবা দিতে হবে।

২. গবাদিপশুর হাটে জাল নোট শনাক্তকরণ বুথ স্থাপনের জন্য সিটি করপোরেশন, জেলা মিউনিসিপ্যালিটি, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌরসভা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।

৩. সার্বিক নিরাপত্তার জন্য পুলিশ, র‌্যাব ও আনসারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে হবে।

৪. বুথে নোট যাচাইকালে কোনো জাল নোট ধরা পড়লে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে পরিপত্র নং—জাল নোট, ১ (পলিসি)/২০০৭-১৯১ মোতাবেক ব্যবস্থা নিতে হবে।

৫. ব্যাংকের নাম ও তার সাথে ‘জাল নোট শনাক্তকরণ বুথ’ উল্লেখপূর্বক ব্যানার ও নোটিশ প্রদর্শন।

৬. ১৬ আগস্টের মধ্যে হাটের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের নাম, পদবি ও মোবাইল ফোন নম্বরসহ প্রত্যেক ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণকারী একজন উপযুক্ত কর্মকর্তার নাম, পদবি ও মোবাইল ফোন নম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে জমা দিতে হবে। ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণকারী কর্মকর্তা হাটে দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তাদের কার্যাদি মনিটর  করবেন।

৭. ঢাকার বাইরে যে সব জেলায় বাংলাদেশ ব্যাংকের অফিস রয়েছে, সেখানে সংশ্লিষ্ট সিটি করপোরেশন বা পৌরসভার অনুমোদিত পশুর হাটগুলোতে স্থানীয় বাংলাদেশ ব্যাংকের নেতৃত্বে একই ব্যবস্থা গ্রহণ করতে ব্যাংকগুলোর আঞ্চলিক কার্যালয় বা প্রধান শাখাগুলোকেও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

৮. বাংলাদেশ ব্যাংকের শাখা নেই এমন জেলার পৌরসভা ও থানার অনুমোদিত পশুর হাটে বিভিন্ন ব্যাংকের এ সংক্রান্ত দায়িত্ব বণ্টনের জন্য সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের চেস্ট (কোষাগার) শাখাগুলোকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সোনালী ব্যাংকের বণ্টন করা দায়িত্ব অনুযায়ী ব্যাংকের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের শাখাগুলো যেন পশুর হাটগুলোতে নোট যাচাই সেবা দেয়, সে বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দান করতে হবে।

৯. আসল ব্যাংক নোটের নিরাপত্তা বৈশিষ্ট সম্বলিত ভিডিও চিত্র ব্যংকের শাখায় ঈদের আগে ৩ কর্মদিবসে গ্রাহকদের জন্য স্থাপিত টিভি মনিটরগুলোতে পুরো ব্যাংকিং সময়ে প্রদর্শন।

১০. দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালনের জন্য আপনার ব্যাংকের প্রযোজ্য বিধি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় আর্থিক সুযোগ-সুবিধা প্রদান।

১১. ঈদুল আজহা সমাপ্তির ১০ কর্ম দিবসের মধ্যে উপরে বর্ণিত নির্দেশনার সূত্রে ব্যাংক কর্তৃক পরিপালিত বিষয়দির প্রতিবেদন বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগে পাঠাতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *