নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা: ১৪ জুলাই জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনে খুলনা ও যশোরে প্রায় ৫লাখ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
খুলনা সিটি কর্পোরেশন (কেসিসি) ও খুলনার ৯ উপজেলায় ২ লাখ ৬৫ হাজার ২৯৩জন শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ১ হাজার ৭৬২টি কেন্দ্রে এ কর্মসূচি পালন করা হবে।
খুলনা জেলা সিভিল সার্জন ডা. এএসএম আব্দুর রাজ্জাক বুধবার স্থানীয় স্কুল হেলথ ক্লিনিকে সাংবাদিকদের ওরিয়েন্টেশন কর্মশালায় এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ২ লাখ ৩৪ হাজার এবং ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ৩১ হাজার ২৮৫ শিশুকে নীল ও লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এর মধ্যে কেসিসি এলাকায় ৯১ হাজার ৮৪২ এবং ৯ উপজেলায় ১ লাখ ৭৩ হাজার ৪৫১জন শিশু। এ কর্মসূচি সফল করতে কয়েকটি এনজিও এবং সরকারি ২ হাজার ৬৬৯ স্বেচ্ছাসেবক দায়িত্ব পালন করবে। খুলনা মহানগরী এলাকায় ৮টি মোবাইল টিমের মাধ্যমে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন চলবে। ক্যাপসুল খাওয়ানোর আগে শিশুকে খালিপেটে না রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এ সময় খুলনার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মো. আতিয়ার রহমান শেখ, বিশেষজ্ঞ (শিশু) ডা. মো. শারাফাত হোসাইন, মেডিকেল অফিসার ডা. তারিমা ইসলাম ও প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফারুক আহমেদও বক্তব্য রাখেন।
কেসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. একেএম আব্দুল্লাহ জানান, ৩১টি ওয়ার্ডে ৬২ জন সুপার ভাইজার ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন মনিটরিং করবেন।
যশোর প্রতিনিধি বি এম ফারুক জানান, ১৪ জুলাই যশোরে তিন লাখ ১৮ হাজার ৮১০ জন শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
যশোরে জেলা সিভিল সার্জন দিলীপ কুমার রায়ের সভাপতিত্বে সাংবাদিকদের ওরিয়েন্টেশন সভায় বুধবার এ তথ্য জানানো হয়।
যশোর জেনারেল হাসপাতাল সভাকক্ষে আয়োজিত সভায় একই সাথে জেলা সিভিল সার্জন সার্বিক প্রস্তুতির তথ্যও জানান। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. হারুণ-অর-রশিদ, মেডিকেল অফিসার সেলিম রেজা, সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সাজেদ রহমান ও দৈনিক ইত্তেফাকের স্টাফ রিপোর্টার ফারাজী আহমেদ সাঈদ বুলবুল।
মেডিকেল অফিসার মীর আবু মাউদের পরিচালনায় এ সভায় জানানো হয়, যশোরে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ৩৫ হাজার ৫৭৭ শিশুকে নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ২ লাখ ৮৩ হাজার ২৩৩ শিশুকে লাল রঙের ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। জেলার ২ হাজার ৪০৪টি কেন্দ্রে ৫৯২ জন স্বাস্থ্যকর্মী ও ৪ হাজার ৮০৮ জন স্বেচ্ছাসেবক সকাল ৮ থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়াবেন।