রিপোর্ট: পাবেল মৃধা:-
শিক্ষকেরা হচ্ছেন মোমবাতির মতো। নিজে জ্বলে, অন্যকে আলোকিত করেন,,যিনি শিক্ষকতায় এসেছিলেন এই পেশাকে ভালোবেসে। তিনি জানান এই পেশা সমাজের সর্বোচ্চ মর্যাদাপ্রাপ্ত। আর তিনি হলেন মানুষ গড়ার কারিগর, নাদিরা বেগম । যিনি সবার কাছে নাদিরা ম্যাডাম নামেই পরিচিত।
এই গুণী শিক্ষীকার জন্ম ভৈরব উপজেলার শিমুলকান্দি গ্রামে। শিশুকাল থেকে বহু চড়াই উৎরাই পাড়ি দিয়ে আজ অবধি বিভিন্ন ক্ষেত্রে সুনাম অর্জন করে ভৈরব তথা শিমুলকান্দিকে ধন্য করেছেন। পিতা মরহুম সিদ্দিক মিয়া সাবেক মেম্বার শিমুলকান্দি ইউনিয়ন ৮ নং ওযার্ড,মাতা- মরহুমা রেজিয়া খাতুন
নাদিরা বেগম ১৯৭৫ সালের ৬ ই মে পৃথিবীর আলো দেখেন। ভাই বোনের মধ্যে নাদিরা বেগম বাবার খুব আদরের মেয়ে। শিক্ষা জীবন শেষ করে একই উপজেলার চাঁনপুর গ্রামের আবুল কাশেমের সাথে সংসার বাঁধে, দু’জনারে সুখের সংসার কালের সাক্ষী রেখে বাংলোয় বাংলোয় চলে। এরই মধ্যে নাদিরা বেগম চাঁনপুরে প্রতিষ্ঠা করেন দিপ্তী কিন্ডারগার্টেন স্কুল, যে স্কুলের মাধ্যমে গ্রামের শিশুরা পাচ্ছে সু- শিক্ষা।
গ্রামের সামাজিক ও পারিপার্শ্বিক আলো বাতাসে বেড়ে উঠা নাদিরা বেগমের জীবন যেন একজন সাদা মনের আলোকিত মানুষের। যারা সমাজের অবহেলিত মানুষকে নিয়ে কাজ করে তারাই প্রকৃত সামাজিক জীব, এরকম নাদিরার মত মানুষ সমাজকে অনেক কিছু দিয়ে যায়, আর বিনিময়ে কিছুই চায় না। সৎ চরিত্র কর্মপরায়ন নীতিবান এরকম মানুষকে সমাজে খুঁজে বের করা খুবই প্রয়োজন। যুগ যুগ ধরে পৃথিবীতে এ ধরনের মানুষের জন্ম হোক সমাজ সেটা আশা রাখে।