করোনার সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ফের কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ হতে যাচ্ছে। বুধবার বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
ইতোমধ্যে চেক প্রজাতন্ত্র তিন সপ্তাহের আংশিক লকডাউন আরোপ করে স্কুল, বার ও ক্লাবগুলো বন্ধ করে দিয়েছে। দেশটিতে প্রতি লাখে সংক্রমণের হার ইউরোপ অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি। নেদারল্যান্ডসেও আংশিক লকডাউন ঘোষণা হয়েছে। জনসাধারণের যাতায়াত আছে এমন সব বদ্ধ জায়গায় মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ইউরোপের অধিকাংশ দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া মানুষের সংখ্যাও বাড়ছে।
ফ্রান্সের সরকারি হাসপাতালগুলোর গ্রুপ এপিএইচপির প্রধান মার্টিন হার্শ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, আগামী সপ্তাহ শেষ হওয়ার আগেই প্যারিসের হাসপাতালগুলোর ইনটেনসিভ কেয়ারের ৯০ শতাংশই পূর্ণ হয়ে যেতে পারে।
এই পরিস্থিতিতে বুধবার প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রন আরও বিধিনিষেধ আরোপ করতে যাচ্ছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্যারিসসহ যে শহরগুলোতে সংক্রমণের হার বেশি সেসব স্থানে সান্ধ্যকালীন কারফিউ জারি করা হতে পারে বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে।
জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মের্কেল জানিয়েছেন, তিনি ইউরোপের কোভিড-১৯ পরিস্থিতি ‘গভীর উদ্বেগের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ’ করছেন।
তিনি বলেন, ‘পরিস্থিতির ভয়াবহতা যে অব্যাহত আছে, তা আমাকে বলতেই হচ্ছে।’
জার্মানির স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বুধবার দেশটিতে পাঁচ হাজারের বেশি করোনা আক্রান্তকে শনাক্ত করা হয়েছে।