আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আইএসে যোগ দেয়া বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক শামিমা বেগমের নাগরিকত্ব বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্রিটেন। দেশটির তরফ থেকে বলা হচ্ছে, ১৮ বছর পার হওয়ায় অন্য দেশের নাগরিকত্ব গ্রহণ করতে পারবেন তিনি।
ব্রিটেনে সন্ত্রাসবাদ সম্পর্কিত আইনের সাবেক পর্যালোচনাকারী লর্ড কার্লাইল বলেছেন, শামিমা বেগম বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত। তার মা বাংলাদেশি হয়ে থাকলে তাদের ধারণা বাংলাদেশি আইন অনুযায়ী, শামীমা বেগমও বাংলাদেশি হবেন। তার বয়স এখন ১৯ বছর। তাই তিনি চাইলে এখন বাংলাদেশের নাগরিকত্ব গ্রহণ করতে পারেন।
কিন্ত শামিমার বাংলাদেশি নাগরিকত্ব এবং বাংলাদেশে তার আশ্রয় লাভের সম্ভাবনার ব্যাপারটি প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, যেহেতু শামিমা বেগম এ দেশের নাগরিক নন তাই তাকে আশ্রয় দেয়ার কোন প্রশ্নই ওঠে না।
২০১৫ সালে ইসলামিক স্টেটে (আইএস) যোগ দিতে সিরিয়ায় পাড়ি জমান তিনি। সিরিয়ায় গিয়ে শামিমা বেগম নেদারল্যান্ডস থেকে আসা একজন আইএস যোদ্ধাকে বিয়ে করেছিলেন। ওই যোদ্ধা অন্য ধর্ম থেকে ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন।
মাত্র ১৫ বছর বয়সে পূর্ব লন্ডনের বেথনাল গ্রিন এলাকা থেকে আরও দুজন বান্ধবীসহ শামীমা বেগম আইএসে যোগ দিতে সিরিয়ায় পালিয়ে গিয়েছিলেন শামিমা। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত হলেও তার কাছে বাংলাদেশের পাসপোর্ট নেই। তিনি কখনও বাংলাদেশেও আসেননি।
শামিমা বেগমের বিষয়টি বাংলাদেশের কোন বিষয় নয় বলে উল্লেখ করেছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এটি ব্রিটিশ সরকারের বিষয়। তার এ ব্যাপারে বাংলাদেশের কিছুই জানা নেই বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।