নিজস্ব প্রতিবেদক : যানবাহনের রেজিস্ট্রেশন ও ফিটনেস প্রদানে ঘুষ-লেনদেনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিআরটিএ’তে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আকষ্মিক অভিযানকালে উধাও হয়ে যায় দালালচক্র।
দুদকের অভিযোগকেন্দ্রে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার সকালে উপপরিচালক খায়রুল হুদার নেতৃত্বে পুলিশসহ নয় সদস্যের একটি টিম বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) ইকুরিয়া কার্যালয়ে আকষ্মিক অভিযান চালায়।
এ বিষয়ে দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব কুমার ভট্টাচার্য রাইজিংবিডিকে জানান, ‘অভিযানে উপস্থিত হওয়া মাত্র বিআরটিএ অফিসে অবস্থানরত দালালরা পালিয়ে যায়।
সরেজমিনে অভিযানকারী টিম দেখতে পায়, ২০০২ সালের পূর্বের পুরাতন ও অচল হওয়া অনেক যানবাহনকে (মিশুক) বেআইনীভাবে সিএনজিকরণ প্রক্রিয়া চলছে। ওই স্থানে আনা বেশকিছু মিশুকে ফেব্রিকেটেড চেসিস নাম্বার লাগানো হয়েছে, যা রেজিস্ট্রেশন করার জন্য আনা হয়েছিল। এসব অনিয়ম দেখে দুদক টিম তাৎক্ষণিক এ বেআইনি কার্যক্রম বন্ধ করে দেন।
এছাড়া দুদক টিমের উপস্থিতিতে এ সময় রেজিস্ট্রেশন ও লাইসেন্সপ্রাপ্তির জন্য দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষায় থাকা আটটি যানবাহনকে পরীক্ষা করে তাৎক্ষণিক ফিটনেস প্রদান করা হয়। উপস্থিত সেবাপ্রার্থীরা দুদকের এ হস্তক্ষেপে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
দুদকের পক্ষ থেকে জনসচেতনতার জন্য উক্ত কার্যালয়ে দুর্নীতিবিরোধী স্টিকার ও লিফলেট বিতরণ করা হয় এবং মাইকিং করে যে কোন দুর্নীতি ও হয়রানি বন্ধে তাৎক্ষণিকভাবে দুদক হটলাইনে (১০৬) কল করার অনুরোধ জানানো হয়।
প্রায় পাঁচ ঘণ্টার এ অভিযান শেষে এনফোর্সমেন্ট অভিযানের সমন্বয়কারী দুদকের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মদ মুনীর চৌধুরী জানান, ‘বিআরটিএ’কে অবশ্যই দুর্নীতির কবল থেকে মুক্ত করে নির্বিঘ্ন সেবা প্রদান নিশ্চিত করতে হবে। বিআরটিএ কর্তৃপক্ষ নিজেদের অফিস দালালমুক্ত না করলে কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুদক কঠোর পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবে।’