জয়নাল আবেদীন রিটন:
ভৈরবে ৮ বছরের শিশু শিক্ষার্থী কে যৌন হয়রানী করায় অভিযুক্ত দূর্জয় ( ১৯) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ । গ্রেফতারকৃত দূর্জয় শহরের জগন্নাথপুর লক্ষীপুর গ্রামের হেলিম সরকারের পুত্র বলে জানা গেছে । আজ দুপুরে অভিযুক্ত কে কিশোরগঞ্জ আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ । এদিকে যৌন হয়রানীর শিকার ভিকটিম শিশুকে ( হাসনা ছদ্ম নাম) আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্ধী রেকর্ডের জন্য জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়েছে ।
মামলার এজাহার ও পুলিশ সূত্রে জানাযায়, শিশুটির মা গত ৩ মাস আগে শিশুটিকে নিয়ে কাজের উদ্ধ্যেশ্যে হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার কামালপুর থেকে ভৈরবে এসে জগন্নাথপুরের লক্ষীপুরে একটি কয়েল ফ্যক্টরীতে শ্রমিকের কাজ নেয় । শিশুটির বাবা ২য় বিয়ে করায় শিশুটিকে নিয়ে সে এখানে একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতো । শিশুটি তার দেশের বাড়ি লাখাইয়ে কামালপুর গ্রামে অবস্থিত গোসাইপুর সঃকাঃ প্রাঃ বিদ্যালয়ে ২য় শ্রেণীতে অধ্যায়ররত । কিন্ত করোনাভাইরাসের কারনে বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় সে তার মার সাথে ভৈরবে চলে আসে । কিন্ত গত ৬ জুন জগন্নাথপুরের লক্ষীপুরে শিশুটির মা রোকসানা আক্তার পার্শ্ববর্তী একটি কয়েল ফ্যাক্টরীতে শ্রমিকের কাজে যোগ দেয় । এ সময় ভিকটিম ফ্যাক্টরীর পাশে একটি বালির মাঠে খেলা করছিল । এ সুযোগে অভিযুক্ত দূর্জয় শিশুটিকে আম খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে তার বাসায় নিয়ে শরীরের বিভিন্ন অংশে ( গোপনাঙ্গসহ) যৌন হয়রানী করে ভয় দেখিয়ে এ ঘটনা কাউকে না বলার জন্য বলে । পরে শিশুটি ব্যথা অনুভব করলে রাতে তার মাকে ঘটনাটি খোলে বলে । পরে শিশুটির মা ছেলের মা কে ঘটনাটি জানালে পুত্রের পক্ষ নিয়ে শিশুটির মা কে এলাকা ছাড়া করবে বলে গালমন্দ করে হুমকি দিয়ে তাড়িয়ে দেয় । পরে সোমবার রাতে শিশুটিকে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় । সেখান থেকে পরে রাতেই ভৈরব থানায় গিয়ে শিশুটির মা রোকসানা আক্তার বাদী হয়ে ভৈরব থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ ( সংশোধনী ২০০৩ ) ধারায় দূর্জয়কে অভিযুক্ত করে একটি মামলা দায়ের করেন । মামলা দায়েরের পর রাতেই পুলিশ দূর্জয়কে তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে ।
এ বিষয়ে ভৈরব থানার ওসি মোঃ শাহিন জানান, শিশুটির স্পর্শকাতর বিভিন্ন অংশে যৌনহয়রানীর ঘটনায় শিশুর মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে গতকাল রাতে মামলা দায়ের করেছে । আমরা অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছি এবং শিশুটিকে ২২ ধারায় জবানবন্ধী রেকর্ডের জন্য কিশোরগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে পাঠিয়েছি ।