জীবনযাপন

হাওরে দর্শানার্থীদের উপছে পড়া ভিড়

অষ্টগ্রাম প্রতিনিধি: এবার ঈদ অবকাশে কিশোরগঞ্জের হাওরগুলোতে ছিল দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড়। ঈদের দিন বিকেল থেকে আজ অবধি অব্যাহত রয়েছে ভ্রমণ প্রিয় মানু্ষদের হাওরে আসা-যাওয়া।

পানিতে টইটম্বুর হাওরে মুগ্ধ মানুষ প্রতিদিনই ভিড় করছে জেলার প্রতিটি হাওর পয়েন্টে। হাওরের অপরূপ সৌন্দর্যে মন ভেজাতে মানুষ পরিবার পরিজন নিয়ে আসছেন। এ সময়ে এখানের হাওরাঞ্চলে আসা পর্যটকের সংখ্যা লক্ষাধিক ছাড়িয়েছে।
জেলার উল্লেখযোগ্য হাওরগুলোর মধ্যে নিকলী বেড়িবাঁধ ও ছাতিরচর, করিমগঞ্জের বালিখলা, মরিচখালী ও চামটাবন্দর, তাড়াইলের হিজলজানী, ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম হাওর সেই ঈদের পরদিন থেকেই জমজমাট।

পানকৌড়ি মাছরাঙাসহ নানা পাখির কলতান, আছড়ে পড়া ঢেউয়ের শব্দ, পানির বুকচিরে ছুটে চলা নৌকা কিংবা জেলেদের মাছ ধরাসহ হাওরের বৈচিত্র্যপূর্ণ প্রাকৃতিক দৃশ্যাবলীতে মুগ্ধ মানুষ।

তবে হাওরে মানুষের আনন্দ পরিভ্রমণে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে জেলা শহর থেকে সরু যাত্রা পথ ও অতিরিক্ত যাত্রী ভাড়া। জেলা শহর থেকে হাওরে যেতে প্রতিটি পয়েন্টের যাত্রাপথ খুব সরু হওয়ায় যানজট যেন সঙ্গী হয়েছে পর্যটকদের। একঘন্টার পথ পাড়ি দিতে লেগে যাচ্ছে ৫/৬ ঘন্টা। এ সকল পথের যানবাহন সিএনজি চালিত অটোরিকশা, ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা, পিকআপ, প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাস। সব যানবাহনে ভিড় তো আছেই, এর সাথে বাড়তি ভোগান্তি অতিরিক্ত যাত্রী ভাড়া।

শুধু এতেই শেষ নয়, হাওর পাড়ে গিয়ে একটু নৌকা ভ্রমণ করতেও বিপত্তি। নৌকার আকাশসম টাকার বিনিময়ে ঘন্টা চুক্তি। এ সময়টাতে দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ টাকা নিচ্ছেন নৌকার মালিকরা। ফলে অনেকে শুধুমাত্র হাওর পাড় থেকেই মুক্ত বাতাস অনুভব করে ফিরে আসছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *