বিবিধ

ঢাকা নদী বন্দর সদরঘাটে নেশা৩ প্রতারকদের উপদ্রব

মোঃ লুৎফর রহমান (খাজা শাহ): ইদানিং ঢাকা নদী-বন্দর সদরঘাট, ওয়াইজঘাট ও সাইকেল মাঠ এলাকায় নেশায় আস৩ চোর, প্রতারকদের উপদধব বৃদ্ধি পেয়েছে। এসব অপরাধীচক্র যদিও ঢাকা নদীবন্দর সদরঘাট ইজারাদারের শ্রমিক নয় এবং হকার বা হকারদের লোকজন নয় তথাপি তাহারা ঘাটের শ্রমিক ও হকার পরিচয় দিয়ে ভোর ৫ টা থেকে বেলা ৯টা এবং বিকাল ৫টা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত নিজেদের সম্পর্কে নানাহ ধরনের মিথ্যা পরিচয় দিয়ে বানোয়াট অযুহাতে তাহাদের অসৎ ফন্দি ফিকিরের উদ্দেশে ̈ ঘুরে-বেড়ায়। এসব প্রতারকেরা প্রথমে যাত্রীদের সাথে বন্ধু সুলভ আচরণ করে তাহাদের নাম-ঠিকানা পরিচয় জিজ্ঞাসা করে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কস্থাপন করে সময় সুযোগে সরলমনা
যাত্রীদের ব্যাগ, টাকা ও মোবাইল নিয়ে পালিয়ে যায়। যদিও এসব প্রতারকেরা বিভিন্ন জেলা ও এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা তথাপি তাহারা নিজেদেরকে সদরঘাটের লেবার লোকজন এবং মিথ্যা পরিচয় দিয়ে চুরি ও প্রতারণা করিয়া থাকে। গত জুলাই মাসের ২৫ তারিখ সন্ধ্যা ৭টায় এ প্রতিবেদক দৈনিক নব অভিযানের বিশেষ প্রতিনিধি ও ডেইলি মর্নিং অবজারভারের বিশেষ প্রতিনিধির সাংবাদিক লুৎফর রহমান (খাজা শাহ)-এর ব্যবহৃত VIVO-Y21 মডেলের মোবাইলটি সাংবাদিকতার পেশাগত
দায়িত্ব পালনের সময় পাঞ্জাবীর পকেট থেকে কে বা কারা চুরি করে নিয়ে যায়। যাহার IME নং সংগ্রহে জটিলতার জন ̈ এখনও জিডি করা হয়নি। এসব নেশা আসক্ত চোর ও প্রতারকদের রয়েছে সংঘবদ্ধ দল ও গ্রুপ। তাহাদের অধিকাংশই তরুণ ও যুবক বয়সী। পক্ষান্তরে তাদের সাথে রয়েছে তাহাদেরই সাহায ̈কারী হিসাবে (১২-১৬ বছর) কম বয়সী তরুণ প্রতারক এসব কম বয়সী তরুণদের দিয়ে যুবক বয়সী প্রতারকেরা সামান্য স্বার্থের বিনিময়ে অনেক ধরনের অপকর্ম ও বিভিন্ন ধরনের কাজ কর্ম করিয়ে নেয়। এসব প্রতারকদের একজন কোন যাত্রীর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ সৃষ্টি করে তাহাদের গ্রুপের অন্যান্যদের স্বাক্ষী বানিয়ে বক্তব্য প্রদান করে মিথ্যা অভিযুক্ত ব্যাক্তিকে ব্ল্যাকমেইলিং
করে তাহারা তাহাদের হীনস্বার্থ আদায় করে বলে জানা যায়। কখনো কখনো এসব প্রতারকেরা বানোয়াট অজুহাতে যাত্রীদের বিশ্রামাগারে এবং সদরঘাটে রাত্রীকালীন নোংগর করা লঞ্চে রাত্রী যাপন করতে দেখা যায়। এদের মধে ̈ গত মাসের ২য় সপ্তাহে ইমন (২৩) ও আলামিন (১৭) সহ ৪/৫ জনকে গভীর রাতে লঞ্চে ঘুমাইতে দেখা যায়। তাছাড়া অপরদিকে শাহ-আলম (২৭), রাফিক (১৯) এবং সোহাগ (২১) সহ তাদের স১⁄২ী ও কয়েকজনকে সদরঘাট এলাকায় বিকাল ৫টা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত নানা অজুহাতে সদরঘাট সাইকেল মাঠ ও ওয়াইজঘাট এলাকায় রহস ̈জনকভাবে ঘুরাফেরা করতে দেখা যায়। সামাজিক শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষা, জনকল্যান তথা যাত্রীসাধারণের নিরাপত্তা বিধানে
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এসব প্রতারকদের ব্যপারে তদন্ত করে তাহাদের চিহ্নিত করার পর তাহাদের ব্যপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন বলে অভিজ্ঞ মহলের অভিমত। চলবে……………..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *