লাখাই প্রতিনিধি: হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলায় একটি শ্মশানের জায়গা রাতারাতি দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের কাছ থেকে অভিযোগ উঠেছে।
শ্মশানটি উপজেলার হাওরাঞ্চলে বেষ্টিত ১নং লাখাই ইউনিয়নের স্বজনগ্রামে অবস্থিত। হেমন্ত মৌসুমে এটিতে শতবর্ষ ধরে স্বজনগ্রামের সাতটি পাড়ার ১০০০ থেকে ১৫০০ হিন্দু মানুষদের দাহ ও সমাধিস্থল হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ১৯৫৫ সালের ভূমি জরিপের রেকর্ডেও (এস এ রেকর্ড) জায়গাটি দাগসুট হিসেবে উল্লেখ রয়েছে। নতুন সেটেলমেন্ট জরিপে অহিন্দ্র কিশোর চক্রবর্তী গংরা জালজালিয়তি ও অবৈধ যোগসাজসে শ্মশানের জায়গাটি তাদের নিজ নামে রেকর্ড করে তাদের ৫০ খানি জমির সাথে শ্মশানের ১১৮ শতক জায়গা বিক্রি করে দেয়। শ্মশানে জায়গাটি বিক্রি করে দেওয়ার পর শাহা আলম গংরা দখলে নিয়ে ভেঙে ফেলছে শ্মশানের স্থাপনা। এ ঘটনায় এই গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের লোক জন ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এই শ্নশানের জায়গাটি তিনি এলাকার জমিদার পরিবারের সদস্য অহিন্দ্র কিশোর চক্রবর্তী ওরপে তপন বাবু কাছ থেকে কিনেছেন।
এই প্রতিবেদক গত রবিবার বিকালে ঘটনাস্থলে গেলে সেখানে জড়ো হন স্বজনগ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকেরা। উপস্থিত লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বৃটিশ আমল আগে থেকেই ওই শ্মশানে লোকজনকে দাহ ও সমাধিস্থ করা হচ্ছে। বিরাজ চক্রবর্তী বলেন, ছোটবেলা থেকেই জায়গাটা মানুষদের শ্মশান হিসেবে ব্যবহৃত হতে দেখে আসছেন। স্বজনগ্রামের বাসিন্দা সুখন সূত্রধর বলেন, তাঁর বাবা মারা গেলে এ শ্মশানে সৎকার করেন। গোতম কর্মকার বলেন তার মা এ শ্মশানে সৎকার করা হয়। গৌরাঙ্গ রায় বলেন তপন বাবুর ও সুরজিৎ কিশোর চক্রবর্তী ১৫/২০ বছর আগ থেকে বলে আসছে শ্মশান আবোরা করে পাকা করন করে দিবে নিজেরাই, গত বছরের আগের বছর পৌষ সংক্রান্তি দিনে ১৫০/২০০ গ্রামবাসীর সামনে বলেছে শ্মশানের জায়গা দিবে তিনি আরো বলেন আমরা বুঝতে পারি নাই আমাদের সাথে বেইমানি করে ধোকা দিয়ে নিজ নামের শ্মশান করে অন্যতো বিক্রি করে দেবে।