মোঃ ছাবির উদ্দিন রাজু বিশেষ প্রতিনিধিঃ
ভৈরবে মেয়ে ও মেয়ের জামাইয়ের বিরুদ্ধে শ্বশুড়-শাশুড়ীকে মারধোর করে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে । আহত শ্বাশুড়ী বর্তমানে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে । এ ঘটনায়
শুশুড় কাজী আবুল খায়ের বাদী হয়ে মেয়ে কাজী ফারজানা নিগার ও জামাই মোঃ মোখলেছুর রহমানের বিরুদ্ধে আজ বৃহস্পতিবার ভৈরব থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে । লিখিত অভিযোগ এলাকাবাসি ও বাদী কাজী আবুল খায়ের জানান, বুধবার সকালে তিনি ঘর থেকে বের হয়ে অসুস্থ স্ত্রীর জন্য ঔষধ আনতে বের হতে চাইলে মেয়ের জামাই মোথলেছুর রহমান তাকে ঘর থেকে বের হতে দেইনি । তাকে ঘরে অবরুদ্ধ করে রাখে। এক পর্যায়ে তাকে গলাচেপে ধরে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার চেষ্টা চালায় । এ সময় তার স্ত্রী তাকে বাচাঁতে এগিয়ে এলে তার স্ত্রীকে ও মারধোর করে গুরুতর আহত করে । তিনি আরো জানান, মেয়ে ও মেয়ের জামাই জোর পূর্বক তার বাড়ি দখল করে নিয়েছে । তারা আমার ঘর দখল করে দীর্ঘ ১ বছর যাবৎ বসবাস করছে । তাদেরকে আমার বাড়ি ছেড়ে দিতে একাধিকবার বললেও তারা আমার বাড়ি দখল ছাড়ছেনা। আমার একমাত্র ছেলেকেও বাড়ীতে থাকতে দেয়নি,শুধু তাই নয় মেয়ের জামাইকে আমার ভিটে বাড়ি লিখে না দেওয়ায় প্রায়ই তারা আমার স্ত্রী ও আমাকে বাসায় অবরুদ্ধ করে রাখে এবং বিভিন্ন সময়ে আমাদের শারিরীক ও মানুষিক নির্যাতন করে । তাদের নির্যাতন সইতে না পেরে সামাজিক বিচার না পেয়ে গত ৯ অক্টোবর ২০২১ ইং সালে কিশোরগঞ্জ আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয় । মামলা দায়েরের পর মামলা তুলে নিতে বিভিন্ন ভাবে বিভিন্ন সময় নির্যাতন ও হত্যার হুমকি দেয় । পরবর্তীতে থানায় সাধারন ডায়েরী ও আদালতে বিচার প্রার্থনা করি । আদালতে বিচার প্রার্থনার পর আদালতে তারা আমাকে নির্যাতন করবেনা বিধায় মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পায় । কিন্ত ছাড়া পেয়ে পুনরায় আমাদের উপর নির্যাদনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় । বর্তমানে তাদের অত্যাচার ও নির্যাতন ও হামলার স্বীকার হয়ে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগতেছি । উক্ত বিষয়ে জানতে বিবাদীর নাম্বারে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে মোবাইলটি নাম্বার টি বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে ভৈরব থানার ওসি তদন্ত মোঃ শাহ আলম মোল্লা জানান,পারিবারিক লেন-দেনের বিষয়ে ২ পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনায় উভয় পক্ষই থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। অভিযোগ তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।