ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানম।
বৃহস্পতিবার (০১ অক্টোবর) দুপুরে হাসপাতাল থেকে তিনি ছাড়া পান।
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস অ্যান্ড হাসপাতালের নিউরো ট্রমা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. জাহেদ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, হাসপাতাল থেকে তাকে মিরপুর সেন্টার ফর দ্য রিহ্যাবিলিটেশন অব দ্য প্যারালাইজড (সিআরপি) সেন্টারে নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত ২ সেপ্টেম্বর রাতে ইউএনওর সরকারি বাসভবনে ঢুকে ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা ওমর আলীর ওপর হামলা করে দুর্বৃত্তরা। তাদেরকে প্রথমে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে ইউএনও ওয়াহিদাকে ঢাকায় ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে আনা হয়।
ডা. জাহেদ হোসেন জানান, ওয়াহিদা খানমের ব্রেনের একটি অংশ পুরো প্যারালাইজড ছিল। তবে এখন সেটার যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে। তিনি এখন একা একাই হাঁটতে পারছেন। কোনো রকমের জড়তা ছাড়া আগে থেকেই তিনি কথাবার্তা বলতে পারতেন। এখন তেমন কোনো রিস্ক ফ্যাক্টর নেই। ফলোআপ চিকিৎসা এবং ফিজিওথেরাপি নেওয়াই এখন প্রধান কাজ।
গত ১৯ সেপ্টেম্বর ওয়াহিদাকে ঘোড়াঘাটের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) দায়িত্ব থেকে বদলি করে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। হাসপাতালে থাকায় তাৎক্ষণিকভাবে নতুন কোনো দায়িত্ব না দিয়ে জনপ্রশসন মন্ত্রণালয়ে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে রাখা হয়েছে তাকে। একইসঙ্গে রংপুরের পীরগঞ্জে ইউএনও হিসেবে কর্মরত তার স্বামী মো. মেসবাউল হোসেনকেও ঢাকায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব হিসেবে বদলি করা হয়েছে।