মোঃ আলমগীর হোসেন, শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি:
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে সন্দেহের কারণে নিজের প্রেমিকাকে খুন করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে আটক লিটন সাঁওতাল (১৯)। সে শ্রীমঙ্গলের মির্জাপুর চা বাগানের উত্তর টিলার মৃত অভিনাশ সাঁওতালের ছেলে।
সোমবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানান, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ সার্কেল) আশরাফুজ্জামান।
তিনি জানান, দুজন দুজনকে বিগত চার বছর যাবৎ ভালোবাসতো। তবে বিগত কিছুদিন থেকে তাদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে নিয়ে লিটন সাঁওতাল এর মনে সন্দেহ সৃষ্টি হয়। তার ধারণা ছিল শিপা নায়েক অন্য কাহার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছে। এ জন্য গত ২৩ জানুয়ারি লিটন শিপার সাথে দেখা করতে তাদের বাড়িতে যায়। এসময় বাড়িতে কেউ ছিল না। কথা বলার এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। এতে লিটন সাঁওতাল উত্তেজিত হয়ে শিপা নায়েককে আঘাত করে। আর শিপা খাটের নিচে পড়ে যায় এবং তার নাক মুখ দিয়ে রক্ত বের হয়ে শরীর নিস্তেজ হয়ে যায়। পরে লিটন সাঁওতাল নিহত শিপা নায়েকের মরদেহটি ঘরের পিছনে মাটির গর্তে পুতে রেখে খড়কুটো দিয়ে ঢেকে রাখে বলে আদালতকে জানিয়েছে।
এসময় শ্রীমঙ্গল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সোহেল রানাসহ অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকালে শ্রীমঙ্গল উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের মির্জাপুর চা বাগানের উত্তর লাইন মাঝির পাড়া চা শ্রমিক নমিতা নায়েকের মেয়ে শিপা নায়েক (১৫) এর অর্ধগলিত মরদেহ তাঁদের বসত ঘরের পশ্চিম পাশের গর্তে পাওয়া যায়। এ ঘটনায় শ্রীমঙ্গল থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু করা হয়। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে লিটন সাঁওতালকে গ্রেপ্তার করে।