অপরাধ

শর্টফিল্মের নামে অশ্লীল ভিডিও ধারণ, দুই প্রতারক আটক

নিজস্ব প্রতিবেদক: শর্টফিল্মের নামে অশ্লীল ভিডিও ধারণ, প্রচার এবং তা দিয়ে প্রতারণা ও ব্ল্যাকমেইলের অভিযোগে ফরিদপুর থেকে এই চক্রের দুই সদস্যকে আটক করেছেন র‌্যাব-৮ এর সদস্যরা।

শুক্রবার ভোরে শহরের হাউজিং এস্টেট এলাকা এবং নগরকান্দা বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। এসময় পরিস্থিতির শিকার এক নারীকেও উদ্ধার করে র‌্যাব।

আটককৃতরা হলেন রাসেল তালুকদার ও সোহেল রানা। তারা জেলার নগরকান্দা উপজেলার ছাগলদি গ্রামের হেদায়েত তালুকদারের ছেলে। এই ঘটনার অন্যতম অভিযুক্ত মেহেদী হাসান ওরফে আশিক পালিয়ে যান। উদ্ধার করা নারীর বাড়ি ফরিদপুর শহরের ঝিলটুলি এলাকায়।

র‌্যাব-৮ ফরিদপুর ক্যাম্পের অধিনায়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রইছ উদ্দিন ঢাকাটাইমসকে জানান, মাসুম নামে ওষুধ কোম্পানির এক প্রতিনিধি র‌্যাবের কাছে অভিযোগ করেন, তিনি শর্ট ফিল্ম ও নাটক নির্মাণ করে এমন একটি গ্রুপের সঙ্গে কাজ করতেন। কিন্তু ওই নির্মাতারা দুইদিন আগে তাকে জিম্মি করে একটি মেয়ের সঙ্গে খারাপ ভিডিও নির্মাণ করতে বাধ্য করে, আর না হলে এক লাখ টাকা দাবি করে। ওই মেয়ের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক আছে বলে তার সঙ্গে বিয়ে দিয়ে দেয়া হবে বলেও হুমকি দেন। পরে মাসুম ৪৪ হাজার টাকা ম্যানেজ করে দিয়ে জিম্মিদশা থেকে মুক্তি পান এবং বিষয়টি র‌্যাবকে জানান।

অভিযোগ পেয়ে অভিযানে নামে র‌্যাব। প্রথমে ফরিদপুর শহরের হাউজিং এস্টেট এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে রাসেল তালুকদার নামে এক যুবককে আটক করা হয়। পরে তার দেয়া তথ্য মতে নগরকান্দা বাজার এলাকা থেকে সোহেল রানা নামে আরও এক যুবককে আটক করা হয়। তবে মুক্তিপণ আদায় চক্রের মূল হোতা মেহেদী হাসান ওরফে আশিক এসময় পালিয়ে যান। এদের জিম্মিদশা থেকে বিবাহিত এক তরুণীকেও উদ্ধার করা হয়।

এসময় চক্রটির কাছ থেকে দুইটি ল্যাপটপ, ক্যামেরা, মাইক্রোফোন, খেলনা পিস্তল ও মুক্তিপণ নেয়া ৪৪ হাজার টাকার মধ্যে ৩৬ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।

এই ঘটনায় ভুক্তভোগী মাসুম ও উদ্ধার তরুণী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করছেন বলে জানান এই কর্মকর্তা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *