এ.আর. মুশফিক: আজ শুক্রবার ভরা পূর্ণিমার রাতে আকাশের বুকে অবলোকন করা যাবে এক বিরল মহাজাগতিক দৃশ্য। ধবল জোছনা মিলিয়ে যাবে, চাঁদ হয়ে উঠবে রক্তের মতো টকটকে লাল। রক্তাভ জোছনা ঘিরে নেবে চরাচর। চাঁদ ঘুরতে ঘুরতে প্রবেশ করবে একেবারে পৃথিবীর ছায়ার মধ্যে।
একবিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে দীর্ঘতম চন্দ্রগ্রহণ হবে আজ রাতে। টানা ১ ঘণ্টা ৪৩ মিনিট ধরে চাঁদের মুখ ঢেকে যাবে পুরোপুরি। তার আগে ১ ঘণ্টা ৬ মিনিট ধরে চলবে আংশিক চন্দ্রগ্রহণ। আবার পূর্ণগ্রাস হয়ে যাওয়ার পর শুরু হবে আংশিক গ্রহণ, যা চলবে আরও ১ ঘণ্টা ৬ মিনিট ধরে। তার মানে, পূর্ণ আর আংশিক চন্দ্রগ্রহণ মিলে মোট ৩ ঘণ্টা ৫৫ মিনিট আলো-আঁধারিতে ঢাকা থাকবে চাঁদ।
এই দীর্ঘতম পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ বাংলাদেশের আকাশেও অবলোকন করা যাবে। এই রাতটা হবে অন্যরকম। মানুষ প্রতীক্ষা করছে এক অপার্থিব অভিজ্ঞতার সাক্ষী হতে। এক অভাবনীয় মহাজাগতিক দৃশ্য উপভোগের জন্য। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর, জলবায়ু মহাশাখা প্রদত্ত তথ্য অনুযায়ী আজ শুক্রবার রাত ১১টা ১৩ মিনিট ০৬ সেকেন্ড গ্রহণটি শুরু হবে। রাত ২টা ২১ মিনিট ৪৮ সেকেন্ডে কেন্দ্রীয় গ্রহণ ঘটবে। আকাশ মেঘমুক্ত থাকলে বাংলাদেশে গ্রহণটি পুরোপুরি দেখা যাবে।
নাসা’র বরাত দিয়ে ইয়াহু নিউজ জানায়, শুধু গ্রহণ হওয়াই নয়, চাঁদ সূর্যের আলো বিকিরণ করে লাল হয়ে যাবে। অর্থাত্ ব্লাড মুনও দেখা যাবে একইসঙ্গে। পৃথিবীর সব জায়গা থেকে এই চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে না। উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার মানুষ এই গ্রহণ দেখতে পাবেন না। আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য, ভারত, বাংলাদেশ, অস্ট্রেলিয়া ও ইউরোপের কিছু দেশ থেকে দেখা যাবে। এর আগে এত বেশিক্ষণ ধরে চন্দ্রগ্রহণ এই শতাব্দীতে কোনও দিন হয়নি। এর আগের দীর্ঘ চন্দ্রগ্রহণ হয় ২০১১ সালের ১৫ জুন। সেটা ১০০ মিনিট স্থায়ী হয়েছিল।