মোঃ নজরুল ইসলাম, মুরাদনগর (কুমিল্লা) প্রতিনিধি:
কুমিল্লার মুরাদনগরে অটোরিক্সার সাথে মাটিবাহী ট্রাক্টরের মুখোমুখি সংঘর্ষে বিয়ের ঘটক হরমুজ ওরফে হমু মিয়া (৫০) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। একই ঘটনায় অটোরিকশাচালকসহ গুরুতর আহত হয়েছে আরো ৩ জন।
শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার নবীপুর পূর্ব ইউনিয়নের গুঞ্জর গ্রামের বেলতলী বাজারের পাশে এ ঘটনা ঘটে। নিহত হরমুজ ওরফে হমু মিয়া উপজেলার গুঞ্জুর দক্ষিণ পাড়া গ্রামের মৃত জুনাব আলীর ছেলে। আহতরা, একই গ্রামের মৃত কিতাব আলীর ছেলে বাচ্চু মিয়া (৭০), আবু তাহেরের ছেলে আবু কাউছার (২৬) ও শুক্কুর আলীর ছেলে জুসেদ মিয়া (৪৫)।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, একটি ট্রাক্টর মাটি নিয়ে ইটভাটায় যাওয়ার পথে গুঞ্জর বেলতলী বাজারের পাশে একটি ব্যাটারী চালিত অটো রিকশাকে চাপা দিলে এতে ঘটনাস্থলে হরমুজ ওরফে হমু মিয়ার মৃত্যু হয়। আহত ২ জনকে চিকিৎসার জন্য মুরাদনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে আসলে তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়িতে পাঠানো হয়। অপরদিকে গুরুতর আহত অবস্থায় নিহত হরমুজের শশুর বাচ্চু মিয়া কে দেবিদ্বার উপজলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ঘাতক ট্রাক্টর ও অটোরিকশা উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
তবে এই ঘটনা ধামাচাপা দিতে ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকায় রফাদফা করার অভিযোগ উঠেছে গুঞ্জুর গ্রামের ট্রাক্টর মালিক মামুনের বিরুদ্ধে।স্থানীয়দের অভিযোগ অবৈধ মাটি বাহি ট্রাক্টর গুলো বেপরোয়া ভাবে চলাচলের ফলে কিছুদিন পরপর ঘটে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। আর এসব দুর্ঘটনা ধামাচাপা দেয় মালিকরা টাকার বিনিময়ে। মূলত লাইসেন্স বিহীন ওইসব ড্রাইভারদের বিরুদ্ধে যদি যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হতো তাহলে এ ধরনের দুর্ঘটনা কমে যেত।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য আবুল কালাম আবু বলেন, যে লোকটি মারা গেছে, সে একেবারেই হতদরিদ্র ছিল। যেহেতু এটি একটি সড়ক দুর্ঘটনা তাই মামলা মোকদ্দমায় না গিয়ে তার পরিবারের পাশে দাঁড়াতেই গ্রামবাসীর সিদ্ধান্তে ১ লক্ষ দশ হাজার টাকায় ঘটনাটির রফাদফা হয়েছে।
এ বিষয়ে মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রভাষ চন্দ্র ধর ঘটনার সত্যতা স্বীকার কর বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগীর পরিবার মামলা না করে। তাহলে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করবে।