মোঃ নজরুল ইসলাম, (কুমিল্লা) প্রতিনিধি:
কুমিল্লার মুরাদনগরে ছেলেকে জোর পূর্বক মাদ্রাসায় দিয়ে যাওয়া গলায় ফাঁস দিয়ে
আয়েত উল্লাহ নামে এক ছাত্রের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা রাতে নবীপুর পশ্চিম ইউনিয়নের নিমাইকান্দি এলাকার মাদরাসাতুল কোরআন ও
সুন্নাহ মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে মুরাদনগর থানায় একটি ইউ ডি মামলা
হয়েছে।
সরেজমিন ও হাসপাতালে গিয়ে জানা যায়, উপজেলার জাহাপুর ইউনিয়নের সাতমোড়া
গ্রামের হুমায়ুন কবীরের দুই ছেলে আয়েত উল্লাহ (১১) ও সামিউল (৯) কে গত এক বছর
আগে মাদ্রাসাতুল কোরআন ও সুন্নাহ মাদরাসায় হেফজ বিভাগে ভর্তি করানো হয়।
শারিরিক অসুস্থতার কারণে গত সাত দিন পূর্বে আয়েত উল্লাহকে তার মা চিকিৎসার জন্য
বাড়ি নিয়ে যায়। চিকিৎসা শেষে তার মা তাকে মাদরাসায় নিয়ে আসতে চাইলে সে
অনীহা প্রকাশ করে। এক পর্যায়ে মঙ্গলবার বিকেলে জোরপূর্বক তাকে মাদরাসায় দিয়ে যায়
তার মা। কিছুক্ষণ পরই মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষকরা মাগরিব নামাজ আদায় করাকালীন সময়ে সে
টয়লেটে গিয়ে ভেন্টিলেটরের গ্রীলে গায়ে থাকা রুমাল পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দেয়। নামাজ
শেষে এক ছাত্র টয়লেটে গিয়ে আয়েত উল্লাহকে ফাঁসরত অবস্থায় দেখে চিৎকার করে উঠে।
চিৎকার শুনে ছাত্র শিক্ষকরা এগিয়ে এসে তাকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করে মুরাদনগর উপজেলা
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
এ বিষয়ে মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মাওলানা মোহম্মদ কাউছার বলেন, আয়েত উল্লাহ অসুস্থ্য
হলে চিকিৎসার জন্য তার মা তাকে বাড়ি নিয়ে যায়। চিকিৎসা শেষে মঙ্গলবার বিকেলে তাকে
মাদ্রাসায় দিয়ে গেলে আমরা কিছু বুঝে ওঠার আগেই মাগরিব নামাজ আদায় করাকালীন
সময়ে সে আত্মহত্যা করে।
এ বিষয়ে মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) নাহিদ আহমেদ বলেন, খবর
পেয়ে হাসপাতাল থেকে মাদ্রাসা ছাত্র আয়েত উল্লাহ’র লাশ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে।
বুধবার ময়না তদন্তের জন্য লাশ কুমেক হাসপাতালে পাঠানো হবে।