রফিকুল ইসলাম রুবেল, ভৈরব প্রতিনিধি: ঈদকে সামনে রেখে মহা সড়কে পণ্যবাহিসহ যানবাহনে চাদাাঁবাজি বন্ধে ভৈরব হাইওয়ে থানা পুলিশ সাড়াঁশি অভিযান শুরু করেছে । পণ্যবাহি ট্রাক বা যে কোন ধরনের পরিবহনে চাদাঁবাজি বন্ধে ভৈরব-ময়মনসিংহ আঞ্চলিক মহাসড়কে ভৈরব থেকে কুলিয়ারচরের আগরপুর পর্যন্ত এবং ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে মরজাল পর্যন্ত মহাসড়কে চাদাবাজিঁ বন্ধে দিন-রাত ২৪ ঘন্টা বিভিন্ন পণ্যবাহি পরিবহনসহ অন্যান্য যানবাহনে চাদাঁবাজিবন্ধে সাড়াশিঁ অভিযানে নেমেছে ভৈরব হাইওয়ে থানা পুলিশ । এছাড়া মহাসড়কে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো, অবৈধ যানবাহন ও হেলমেটবিহীন মোটরসাইকেল চালানো সহ বিভিন্ন অনিয়মের দায়ে ট্রাক,প্রাইভেটকার,মাইক্রেবাস,মোটরসাইকেলও সিএনজির বিরুদ্ধে ৩শ ১৬টি মামলা রুজু করে ৯ লাখ ৪৬ হাজার ৫শ টাকা রাজস্ব আদায় করেছে হাইওয়ে থানা পুলিশ ।
তবে পণ্যবাহি ট্রাকের চালক ও সহকারি চালকরা এ অভিযানে সন্তোষ্ট প্রকাশ করেছেন । ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা ভৈরবগামী পণ্যপরিবহন ট্রাকের চালক ইব্রাহিম মিয়া জানান,আগে পথে পথে বিভিন্ন সংগঠনের নামে চাদাঁ দিতে হতো । কিন্ত আজ ভৈরবে আসার পথে কেউ চাদাঁ চাইনি বিষয়টা কেমন যেন অবাক লাগছে । সব সময় যদি এভাবে রুটে গাড়ি চালাতে পারতাম তাহলে অনেক ভালো থাকতে পারতাম । পিকআপভ্যান চালক সেলিম মিয়ার সাথে কথা হয় ভৈরব দূর্জয় মোড়ে । তিনি আক্ষেপ করে বলেন স্যার রুটে গাড়ি চালাতে প্রতিদিন ৩/৪শ টাকা চাদাঁ দিতে হয় । তবে কেন এ চাদাাঁর টাকা দিতে হবে ? আমরা তো বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্সে গাড়ি চালায় ,গাড়ির কাগজ পত্র ঠিক আছে । তারপর ও বিভিন্ন নামে-বেনামে চাদাঁ দিতে হয়েছে । আজ কোন চাদাঁ দিতে হয়নি । মনডা খুব ভালো লাগতাছে । বাংলাদেশটা যদি এমন হতো । তাহলে কত সুন্দর হতো
এ বিষয়ে ভৈরব হাইওয়ে থানার ওসি মোজাম্মেল হোসেন জানান,মহাসড়কে পণ্যবাহি বা যে কোন ধরনের যানবাহনে কোন প্রকার চাদাঁবাজি করতে কাউকে দেবনা । আমরা হাইওয়ে পুলিশ চাদাঁবাজি বন্ধে দিন-রাত ২৪ ঘন্টা কাজ করছি । কেউ যদি চাদাঁবাজি করে আমাদের কাছে অভিযোগ দিলে আমরা আইনগতভাবে ব্যবস্থা নিবো । এছাড়া বেপরোয় গতিতে যাতে কোন চালক গাড়ি চালাতে না পারে কোন প্রকার দূর্ঘটনা না ঘটে সেজন্য সড়কে স্পীড গান ব্যবহার করা হচ্ছে । বেপরোয় গাড়ী চালালে স্পীড গানের মাধ্যমে সনাক্ত করে মামলা ও জরিমানা আদায় করা হচ্ছে । গত মাসে আমার নিয়ন্ত্রণাধীন মহাসড়কে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো, অবৈধ যানবাহন ও হেলমেটবিহীন মোটরসাইকেল চালানো সহ বিভিন্ন অনিয়মের দায়ে ট্রাক,প্রাইভেটকার,মাইক্রেবাস,মোটরসাইকেলও সিএনজির বিরুদ্ধে ৩শ ১৬টি মামলা রুজু করে ৯ লাখ ৪৬ হাজার ৫শ টাকা রাজস্ব আদায় করা হয়েছে । আমাদেও অভিযান অব্যাহত আছে ।