জাতীয় ভৈরব

ভৈরব রেল ষ্টেশনের প্লাটফর্মে ঝুঁকিপুর্ণ গ্যাস সিলিন্ডার, বড় ধরণের দূর্ঘটনার আশংকা

জয়নাল আবেদীন রিটন, ভৈরব প্রতিনিধিঃ
ভৈরব রেলওয়ে জংশন ষ্টেশনের প্লাটফর্মের ভেতরে হোটেলগুলোতে ঝুকিপূর্ণ ভাবে ব্যবহার করছে জ্বলাণী হিসেবে গ্যাস সিলিন্ডার। এতে করে যে কোন সময় সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে মারত্মক দূর্ঘটনার আশংকা রয়েছে এই ষ্টেশনে। ফলে রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিনষ্ট হওয়া সহ হতাহতের আশংকাও রয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ষ্টেশনে ট্রেন থামার পর অসংখ্য যাত্রী ট্রেন থেকে নেমে থাকে। অধিকাংশ যাত্রী প্লাটফর্মের হোটেলগুলোতে তাদের পানাহার সারেন। হোটেলের অনেক সিলিন্ডার সংলগ্ন স্থানেই যাত্রীদের বসারও ব্যবস্থা করা হয়। যাত্রীরা নাস্তা পানি শেষে অনেকই ধুমপান করে থাকেন। যাত্রীদের অসর্কতার কারনে সিগারেটের আগুন থেকেও অগ্নিকান্ডের সৃষ্টি হতে পারে। সুত্র জানায়, প্লাটফর্মের হোটেলগুলোর লাইসেন্স থাকলেও হোটেলে কোন রকম জ্বালানী ব্যবহার করা যাবেনা। জ্বলানীর কাজ বাহির থেকে সেরে হোটেলে পরিবেশন করতে হবে।


১নং প্লাটফর্মের রেল লাইন থেকে ১০ ফুট দুরে মায়ের দোয়া হোটেলের প্রবেশ মুখে ২ টি সিলিন্ডার রযেছে । ১ টি সিলিন্ডার দিনে রাতে ২৪ ঘন্টা জ্বলতে থাকে। ২ নং প্লাটফর্মের ভোজনালয় হোটেলে জ্বালানী হিসেবে ব্যবহৃত সিলিন্ডার থেকে মাত্র ৪/৫ ফুট দুরে রেল লাইন। এটুকু যায়গার মধ্যেই ব্যাসায়ীরা গ্যাস সিলিন্ডার ব্যাবহার করে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন হোটেল মালিক। যা রীতিমত সম্পর্ণ ঝুঁকিপর্ণ। এ সকল গ্যাস সিলিন্ডার যে কোন সময় বয়ে আনতে পারে বড় ধরণের মারাত্মক দুর্ঘটনা। হোটেলগুলোতে পানাহার শেষে অসতর্কাবস্তায় ধুমপায়িদের সিগারেটের আগুন থেকেও অগ্নিকান্ডের সৃষ্টি হতে পাড়ে।

ষ্টেশন মাষ্টার এ কে এম কামরুজ্জামান বলেন, ওরা লাইসেন্সধারী হিসেবে কিছু করা যাচ্ছেনা। গত কিছু দিন পুর্বে জি এম স্যার পরিদর্শনে এসে হোটেরের ভিতরে গ্যাস সিলিন্ডার দেখতে পেয়ে পাছঁটি সিলিন্ডার জব্দ করা হয়। জব্দকৃত সিলিন্ডারগুলো এখন রেলওয়ে থানায় জমা রয়েছে।

নিরাপত্তাবাহিনী পরিদর্শক মোঃ জাহাঙ্গির হোসেন বলেন , দোকানের ভেতর যাতে চুলা জ্বালাতে না পারে সে জন্য অভিযান চালিয়ে গত কয়েক দিন পূর্বে হোটেলগুলোতে থেকে বেশ কয়েকটি সিলিন্ডার জব্দ করা হয়েছে। আমরা লক্ষ্য রাখছি হোটেলে যাতে জ্বালানি কাজে গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার না করতে পারে।

ষ্টেশনে গ্যাস সিলিন্ডার থেকে অগ্নিকান্ডের ঝুঁকিমুক্ত রাখতে এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষাসহ জানমালের ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের এদিকে নজর দেয়া জরুরী বলে মনে করেন সচেতন মহল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *