ডেস্ক নিউজ:
শিক্ষকের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদের ব্যাখ্যা ও বিচারের দাবিতে কমলপুর দারুল উলুম মাদ্রাসার ছাত্ররা উক্ত প্রতিষ্ঠানের সভাপতি হাজী ফুল মিয়ার ও কমিটির সদস্য হাজী আরব আলীর কাছে গেলে মুহতামিম ক্ষুব্ধ হয়ে গেইট তালা লাগিয়ে দিলে শতাধিক ছাত্র বাহিরে আটকে পড়ে। পরে রাত দশটার দিকে স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে ভিতর ঢুকে ছাত্ররা।
এই ঘটনায় আজ সোমবার রাতে কমলপুর দারুল উলুম মাদ্রাসার একটি বিভাগের ৮০জন ছাত্র ভিতরে ঢুকতে পারলেও রাতের খাবার বন্ধ করে দেয়া হয় মুহতামিমের নির্দেশক্রমে। পরে তারা পানি খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে অভুক্ত ছাত্ররা।
খবর পেয়ে রাত ১২টায় মাদ্রাসা গেইটে উপস্থিত হন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ সাদিকুর রহমান সবুজ। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার করে গেইট খুললে ভিতর প্রবেশ করেন ইউএনও মহোদয়।
ফোন পেয়ে রাতেই ছুটে আসেন সভাপতি হাজী ফুল মিয়া। কিন্তু বার বার লোক মারফত খবর পাঠালেও রুম থেকে বের হচ্ছিলেন না মুহতামিম। দীর্ঘক্ষণ পর তিনি আসেন এবং মাফ চাইতে চেষ্টা করলেন। এসময় ইউএনও মহোদয় ছাত্রের বক্তব্য শুনে নিশ্চিত হন তাদের রাতের খাবার দেয়নি মাদ্রাসা কতৃপক্ষ।
শেষে ইউএনও মহোদয় মুহতামিমকে নির্দেশ দেন আধাঘন্টার মধ্যে যেন ছাত্রদের খাবারের ব্যবস্থা করা হয় এবং আগামীকালের মধ্যে যেন ঘটনার ব্যাখ্যা দেন। এসময় তিনি ছাত্রদের অমানবিকভাবে পিটাচ্ছে মুহতামিম। সেই ভিডিওর ব্যাখ্যা চেয়েছেন ইউএনও মহোদয়।