জয়নাল আবেদীন রিটন, বিশেষ প্রতিনিধি:
ভৈরব বাজারে ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান চালিয়ে চল্লিশ লক্ষাধিক টাকা মুল্যের পচিশশত কেজি কারেন জাল উদ্ধার করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। আজ সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বাজারের চকবাজার ও রানীর বাজারে এরশাদ ষ্টোর ও সায়মন ষ্টোরে অভিযান চালানো হয়। এ সময় দীপু ও আকাশ নামে দুজনকে আটক করেন ভ্রাম্যমান আদালত। পরে জব্দকৃত কারেন জাল ধ্বংস করাসহ আটককৃত দুই জনকে পাছঁ হাজার টাকা করে মোট দশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন ভৈরব উপজেলা সহকারী কমিশনার ( ভুমি) হিমাদ্রী খিসা। এ সময় সাথে ছিলেন উপজেলা সিনিয়র মৎস কর্মকর্তা লতিফুর রহমান।
ভ্রাম্যমান আদালতের মেজিষ্ট্রেট হিমাদ্রী খিসা বলেন, আমরা জানতে পারি বাজারের চকবাজার ও রানীর বাজারের কয়েকটি গোডাউনে কারেন জাল মজুদ করে রাখা হয়। তথ্যের ভিত্ত্বিতে আজ সকালে এরশাদ ষ্টোর ও সায়মন ষ্টোরে অভিযান পরিচালনা করি। সেখানে সরকারের নিষিদ্ধ ঘোষিত অবৈধ কারেন জাল মজুদ করে রাখা হয়েছে দেখতে পাই। পরে সেখান থেকে আমরা দুজনকে আটক করি। আটককৃতদের মোবাইল কোর্টের আইন অনুযায়ী পাঁছ হাজার টাকা করে দু জনকে দশ হাজার টাকা জরিমান করা হয়। আর জব্দকৃত কারেন জাল ভুমি অফিস চত্ত্বরে আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করে ফেলা হয়। জব্দকৃত কারেন জালের আনুমানিক মূল্য চল্লিশ লক্ষাধিক টাকা হতে পারে। আমাদের এ অভিযান অব্যাহতম থাকবে।
উপজেলা সিনিয়র মৎস কর্মকর্তা লতিফুর রহমান বলেন, আমাদের কাছে একটা গোপন সংবাদ ছিল । সে গোপন সংবাদের ভিত্ত্বিতে উল্লেখিত স্থান থেকে নিষিদ্দ ঘোষিত আনুমানিক চল্লিশ লক্ষাধিক টাকা মুল্যের অবৈধ কারেন জাল জব্দ করাসহ সেখান থেকে দুজনকে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমান আদালতে পাঁছ হাজার টাকা করে দুজনকে দশ হাজার টাকা জরিমান করাা হয়। আর জব্দকৃত কারেন জাল উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) অফিস কার্যালয় চত্ত্বরে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। কারেন জাল ব্যবহার ও কারেনজাল ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আমাদের এমন অভিযান চলমান থাকবে।