আশরাফ আলী বাবু: গত ১৫ই আগস্ট সকাল অনুমান ৭ ঘটিকার সময় ভৈরব পৌরসভাধীন ভৈরবপুর উত্তর পাড়া (পাক্কার মাথা) শামসু মিয়ার নিজ বাড়িতে উক্ত ঘটনাটি ঘটে। শামসু মিয়ার বোনদের ওয়ারিস বন্টন নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে শামসু মিয়া স্ত্রী সাহারা খাতুন রাগান্বিত হয়ে তার ছেলেদের নিয়ে ধারালো অস্ত্র দ্বারা হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতারি ভাবে কুপিয়ে ও বাইড়িয়ে গুরুতর জখমী আঘাত করে। শামসু মিয়া চিৎকারে হুমায়ুন কবির, সেলিম মিয়া ও সুজন মিয়া ঘটনাস্থলে এগিয়ে আসলে তাদেরও কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। প্রতিবেদনে জানা ঝগড়াঝাটির এক পর্যায়ে বিবাদী পক্ষের রতন মিয়া নামে একজন আঘাত প্রাপ্ত হয়। এ ব্যপারে ভৈরব থানায় শামসু মিয়ার বোন জাহানারা বেগম বাদী হয়ে ৩ জনকে বিবাদী করে একটি অভিযোগ দায়ের করে। উক্ত অভিযোগের আসামীগণ হল-১। সাহারা খাতুন (৫০), স্বামী-শামসু মিয়া, ২। মানিক মিয়া (২৭), পিতা- শামসু মিয়া, ৩। রতন মিয়া (২৬), পিতা- শামসু মিয়া।
১নং আসামী শাহারা বেগম ২নং আসামী মানিক মিয়া ৩নং আসামী রতন মিয়া
অভিযোগটির তদন্তের দায়িত্বে আছেন ভৈরব থানার এসআই জাহাঙ্গীর আলম। তার সাথে কথা বললে তিনি অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করেন এবং মামলা নথিভুক্ত করার বিলম্বের ব্যপারে বলেন যেহেতু বাদী-বিবাদী নিত্যান্তই আপনজন সেহেতু ঘটনা পারিবারিক/সামাজিক ভাবে মীমাংসা না হলে, আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে, তিনি আরো বলেন এ ঘটনার ব্যপারে বিবাদী পক্ষও একটি অভিযোগ দায়ের করেছে। অপরদিকে বাদীনি জাহানারা বেগম বলেন ঘটনার ১৮ দিন অতিবাহিত হবার পরও রহস্য জনক ভাবে মামলা নতিভুক্ত করছেনা। সমাধান টিভির প্রতিবেদককে বাদীনি জাহানার বেগম জনান তদন্ত অফিসার ঘটনাস্থল ও রোগীদের হাসপাতালে গিয়ে কোন প্রকার তদন্ত করেনি। এ ব্যপারে শামসু মিয়া ও বাদীনি জাহানারা বেগম কর্তৃপক্ষের যথাযথ দৃষ্টি আকর্ষন করছেন।