মো: রফিকুল ইসলাম রুবেল, ভৈরব প্রতিনিধিঃ
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে স্কুলে আসা যাওয়ার পথে বোনকে উত্ত্যক্ত করার বিচার চাওয়ায় তিন ভাইকে কুপিয়ে গুরুত্বর জখমের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় তাদের ঘরবাড়ি ও একটি ফার্মেসি ব্যাপক ভাঙচুর নগদ টাকা, স্বর্ণ অলংকার, মোবাইল ও ল্যাপটপ লুটপাট করা হয়।
শুক্রবার (২৩ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টার দিগে ভৈরব পৌর শহরের ভৈরবপুর উত্তরপাড়া স্টেডিয়াম সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- হাসান মাহমুদ, উলি উল্লাহ ও আসাদুল্লাহ। তারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। হামলায় আহত তিন ভাই পেশায় হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক বলে জানা যায়।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, কয়েক বছর ধরে ভৈরবপুর উত্তরপাড়ার স্টেডিয়াম সংলগ্ন এলাকায় নিজ বাড়িতে বসবাস করছেন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক আলহাজ্ব ডা. আবু বক্কর ছিদ্দিকের পরিবার। তার ছোট মেয়ে ভৈরব গার্লস পাইলট হাই স্কুলের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী। বাসা থেকে স্কুলে আসা যাওয়ার পথে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন একই এলাকার কাজল মিয়ার ছেলে শিপন। রাস্তায় উত্ত্যক্তের ঘটনা বাসায় এসে পরিবারকে জানালে বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় মাতব্বরদের কাছে বিচার এলাকার গণ্যমান্য সালিশিয়ানরা আপোষ মিমাংশা করার জন্য সালিশের তারিখ নির্ধারণ করেন।
সালিশের কথা শুনেই শুক্রবার রাতে বখাটে শিপনসহ কয়েকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ডা:আবু বক্কর ছিদ্দিকের বাসায় হামলা চালায়। এ সময় তার তিন ছেলে বাঁধা দিতে গেলে তাদের রামদা দিয়ে কুপিয়ে জখম করে বখাটেরা। তাদের চিৎকার শুনে স্থানীয়রা ছুটে এলে বখাটেরা পালিয়ে যায়। তিন ভাইকে উদ্ধার করে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করা হয়।
ইভটিজিং এর শিকার স্কুল ছাত্রীর পিতা ডা: আবু বক্কর ছিদ্দিক অভিযোগ করে বলেন, ‘স্কুলে যাওয়া আসার পথে আমার মেয়েকে শিপন প্রতিদিনই উত্ত্যক্ত করে। এ নিয়ে আমি স্থানীয় গণ্যমান্য লোকদের কাছে বিচার চাই। তারা সালিশের তারিখ নির্ধারণ করেন। এরপরেই শুক্রবার রাতে শিপনসহ একদল লোক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হঠাৎ করে অর্তকিতভাবে আমার বাসায় হামলায় চালায়। আমার তিন ছেলে বাঁধা দিলে রামদা দিয়ে কুপিয়ে তাদের গুরুতর আহত করে। এ সময় বাড়িতে থাকা মহিলাদের উপর হামলা ও লাঞ্ছিত করে ব্যাপক ভাঙচুর করে লুটপাট চালায়। রাতেই অর্তকিত হামলায় আহত ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় ১০ জনের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে ভৈরব থানা একটি অভিযোগ দিয়েছে।আমি এই হামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিচার চাই। অভিযোগের বিষয়ে
ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গোলাম মোস্তফা জানান তিন ভাইকে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে পুলিশ কাজ শুরু করেছে।