জাতীয়

ভৈরবে সরকারি জিল্লুর রহমান মহিলা কলেজের নবীন বরণ অনুষ্ঠিত

সোহেলুর রহমান, ভৈরব প্রতিনিধি

প্রকৃত মানুষ গড়া-ই আমাদের লক্ষ্য- এ শ্লোগানকে সামনে রেখে কিশোরগঞ্জের ভৈরবে সরকারি জিল­ুর রহমান মহিলা কলেজে ২০১৯-২০২০ একাদশ শ্রেণির শিক্ষাবর্ষে নবীন বরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সোমবার সকাল ১০টায় সরকারি জিল­ুর রহমান মহিলা কলেজ মাঠ প্রাঙ্গনে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। শেষ বর্ষের শিক্ষার্থীরা অনুষ্ঠানের অতিথি ও নবীন শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন।
সরকারি জিল­ুর রহমান মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মো. জয়নাল আবেদীন এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ভৈরব উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মো. সায়দুল­াহ মিয়া।
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক মাহমুদা বেগমের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি কমিটির আহŸায়ক ও নবীন বরণ উদযাপন কমিটির আহŸায়ক দর্শন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান শামীম আহমেদ, হাজী আসমত কলেজ বিভাগীয় প্রধান সাবেক অধ্যাপক ফজলুল হক প্রমুখ। এ সময় অন্যান্য অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগীয় প্রধান সাইফুল ইসলাম, বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান তৌহিদুল ইসলাম, পদার্থ বিজ্ঞান শিক্ষক ইমদাদুল হক চৌধুরী প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, প্রকৃত মানুষ গড়াই আমাদের লক্ষ্য। এ মূল মন্ত্র নিয়েই কলেজটি ১৯৯৪ সালে যাত্রা শুরু করে। সে যাত্রায় আজ এ কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে রূপান্তরিত। নবীনদের ইঙ্গিত করে বলেন, এই বৃহৎ বিদ্যায়তনে তোমাদের দায়িত্ব তোমাদের নিতে হবে এবং নিজের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে। আজ নবীনদের কলেজে প্রথম দিন। তারা আজ ভর্তি হয়েছেন সুশিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার জন্য। ১০ বছর লেখাপড়া করে আজ তারা এ কলেজে একাদশ শ্রেণি ভর্তি হয়েছে। এ পর্যন্ত লেখাপড়া করায় তাদের পিতা-মাতা ও স্কুলের শিক্ষকদের প্রতি সাধুবাদ জানান। আজ এ কলেজ থেকে সঠিক শিক্ষা গ্রহণ করে ভবিষ্যতে এ নবীনরাই একদিন ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, প্রশাসনের বড় কর্মকর্তা হিসেবে দেশ সেবায় নিয়োজিত থাকবে।
জানা যায়, ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষে উক্ত কলেজে সকল বিভাগে ৮৫০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হন।
সকল শিক্ষার্থীর উপস্থিতিসহ কলেজের অন্যান্য শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকবৃন্দসহ সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা শেষে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিকদের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *