জয়নাল আবেদীন রিটন, ভৈরব প্রতিনিধি ॥
কিশোরগঞ্জের ভৈরব মেঘনা নদীর পাড়ে তিন সেতু সংলগ্ন এলাকায় মজুদকৃত কয়লা অপসারণে অভিযান চালিয়েছে ভৈরব রেলওয়ে পুলিশ। অভিযানের খবর পেয়ে ব্যবসায়ীরা উপস্থিত হয়ে আগামী দু মাসের মধ্যে মজুদকৃত কয়লা অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার আশ্বাস দেয়। শনিবার দুপুরে ভৈরব রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি) মো ঃ ফেরদৌস আহাম্মদ সঙ্গিয় ফোর্স নিয়ে এ অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় তার সাথে ছিলেন ভৈরব নৌ- থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি) মোঃ তরিকুল আলম, বিআইডব্লিউটিএ ভৈরব অফিসের উর্ধতন উপ- সহকারী প্রকৌশলী মিথুন কুমার দাস। উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ মেঘনা পাড়ে কয়লা মজুত বন্ধ করতেই হবে। কয়লা মজুদ বন্ধ করতে নদীর পাড়ে জাহাজ ভীড়াতে নিষেধ করেছে নৌ- থানার ওসি তরিকুল আলম ও বিআইডব্লিউটিএ’র
ভৈরব রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি) মো ঃ ফেরদৌস আহাম্মদ জানান, ভৈরব রেলওয়ে থানার ওসি মোঃ ফেরদৌস হায়দার জানান, তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষের অভিযোগের প্রেক্ষিতে আজ পুলিশ নিয়ে অভিযান চালায়। মেঘনা পাড়ে অবৈধভাবে ব্যবসায়ীরা কোনভাবে কয়লা মজুত করতে পারবেনা। তাদের কয়েকজন রেলওয়ে থেকে কৃষি লীজের নামে জায়গা দখল করে অবৈধভাবে এখানে কয়লা মজুত করায় তিতাস গ্যাসের সঞ্চালন লাইনসহ তিনটি সেতু ঝুঁকিতে রয়েছে। এছাড়াও যে কোন সময় বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটে হতাহতের আশংকার রয়েছে। পুলিশ লিজের কাগজপত্র দেখতে চাইলে তারা কোন কাগজ দেখাতে পারেনি। উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে এখানে কয়লা মজুত বন্ধ করতে অভিযান চালানো হচ্ছে। অভিযানে নৌ- থানার ওসি তরিকুল আলম ও ভৈরব রেলওয়ের উর্ধতন প্রকৌশলী মিথুন কুমার দাস নদীর পাড়ে জাহাজ থেকে কয়লা নামাতে নিষেধ করেছে । আজ থেকে ভৈরব রেলওয়ে থানার ওসি মেঘনা নদীঘাট জাহাজ থেকে পাড়ে কয়লা নামানো বন্ধ করে দেন। মজুদকৃত কয়লা অপসারণে পুলিশের কাছ থেকে দু মাসের সময় চেয়ে নেন কয়লা ব্যবসায়ীরা।
ভৈরব কয়লা ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সভাপতি মোঃ মজনু সওদাগর বলেন, এ কয়লা ব্যবসার সাথে ত্রিশ থেকে চল্লিশ হাজার লোক জড়িত। আমরা এখন যদি কয়লা ব্যবসা বন্ধ করে দিই তাহলে আমাদের পথে বসা ছাড়া আর কোন উপায় থাকবেনা। মানুুষের কাছে আমাদের প্রায় আঠারো কোটি টাকা বাকি রয়ে গেছে। এখন ব্যবসা বন্ধ করলে এ টাকা আর পাওয়া যাবেনা। এবিষয়ে আপনার আমাদের দিকে একটু সুদৃষ্টি রাখবেন বলে পুলিশের কাছ থেকে দুইমাস সময় চেয়ে নিয়েছি। এরই মধ্যে রেলওয়ের জায়গা থেকে কয়লা সরিয়ে ফেলা হবে। এখন থেকে এখানে আর কয়লা মজুদ করা হবেনা এমন আশ্বাসের ভিত্তিতে পুলিশ চলে আসে।