মাদক অভিযান

ভৈরবে মাদক ব্যবসীদের আক্রমনে পুলিশের সোর্স খুন

জয়নাল আবেদীন রিটন, বিশেষ প্রতিনিধি :

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মাদক ব্যবসাকে কেন্দ্র করে সোহাগ মিয়া (৩৭) নামে এক ব্যাক্তিকে প্রতিপক্ষ পিটিয়ে হত্যা করেছে। মুমুর্ষ অবস্থায় স্থানিয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয় যায়। পরে তার অবস্থা আশংকা জনক হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। এ ঘটনা ঘটেছে গত সোমবার বিেেকলে (৬ জানুয়ারী) পঞ্চবটি এলাকায়। মারধরের ঘটনায় নিহতের মেয়ে সখি বেগম বাদী হয়ে ঐ দিনই ৮ জনকে আসামি করে থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করেছিলেন। নিহত সোহাগ মিয়া পঞ্চবটি পুকুরপাড় গ্রামের মৃত খালেক মিয়ার ছেলে।

জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবত সোহাগ মিয়া মেঘনা ফেরীঘাট থেকে ভ্যান গাড়ি চালিয়ে মাছ নিয়ে আসতো ভৈরব ষ্টেশনে। বেশ কয়েক বছর এ পেশায় থাকার পর গত প্রায় এক বছর যাবত সোহাগ মিয়া পুলিশের সোসের্র কাজ করত। কিছুদিন পুর্বে সোহাগ মিয়া ঘোড়াকান্দা এলাকায় মাদক ব্যবসায়ীদের পুলি দিয়ে ধরিয়ে দেবার চেষ্টা করে। এ ঘটনায় মাদক কারবারিরা তার প্রতি ক্ষুন্ন হয়। এরই জের ধরে গত সোমবার বিকেলে তাকে পঞ্চবটি এলাকায় দেশিয় অস্ত্র দিয়ে পিটিয়ে মারাত্মক জখম করে। হাসপাতালে টানা পাচঁ দিন চিকিৎসাধিন থাকার পর গত শনিবার সকালে মারা যায়। নিহতের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজে ময়না তদন্তের পর শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতাটার সময় বাড়িতে নিয়ে আসে তার স্বজনরা। পরে তাকে রাতেই পৌর কবরস্থানে দাফন করা হয়।

নিহতের ভগ্নীপতি আলফাজ মিয়া বলেন, বিনা কারণে সোহাগ মিয়াকে মারধর করে কিছু লোকজন। এলাকাবাসির সহযোগিতায় আশংকা জনক অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ভৈরব চন্ডিবেড় হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করলে তখন আমিও তার সাথে ঢাকায় যাই। টানা ছয়দিন চিকিসাধিন থাকার পর আজ সকালে সে মারা গেলে পোষ্টমর্টেম করিয়ে তার লাশ বাড়িতে নিয়ে আসি।

স্থানিয়রা বলেন, সোহাগ মিয়া প্রায়ই মানুষকে পুলিশের নামে ভয়ভীতি দেখাত। কিছুদিন পুর্বে সোহাগ ঘোড়াকান্দা বালুর মাঠে মাদক ব্যবসাযীদের ধরিয়ে দিতে পুলিশ নিয়ে গিয়েছিল। সে দিন থেকেই ঐ এলাকার মাদক কারবারিদের সাথে সোহাগের শত্রæতা শুরু হয়। এ ঘটনা এরই জের।

ভৈরব থানার ওসি মো. শাহীন জানান, এ ঘটনায় সোহাগের মেয়ে সখি বেগম গত বৃহস্পতিবার রাতে ৮ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেছেন। এর প্রেক্ষিতে ঐ দিনই পুলিশ এজাাহার ভুক্ত মো. রানা (২৯) ও দীপু (৩০) নামে দুইজন আসামিকে গ্রেফতার করে। তখন মামলাটি ছিল মারামারির ঘটনায়। ঐ মামলাটি এখন হত্যা মামলায় রুপান্তরিত হবে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয় হবে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *