সমাধান ডেস্কঃ
ভৈরবে রেলওয়ের বৈধর চেয়ে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ বেশি অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে মাসে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে পকেট ভারী করছে দায়িত্বে থাকা উর্ধ্বতন উপ-সহকারি বিদ্যুৎ বিতরন কর্মকর্তা । তিনি যোগদানের পর থেকে রেলওয়ের বিদ্যুৎ বিতরন কেন্দ্রের আওতায় ভৈরব-নরসিংদীর রায়পুরা মেথিকান্দা, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ ও কিশোরগঞ্জ পর্যন্ত রেলওয়ের অধীনে প্রায় দেড় শতাধিক বিদ্যুৎ লাইন চলছে বৈধভাবে আর অবৈধ সংযোগ রয়েছে প্রায় ২ শতাধিক । অবৈধ লাইন সংযোগের বেশির ভাগই ব্যবহার হচ্ছে রেলওয়ে পাওয়ার হাউজ সুইপার কলোনী,রেলওয়ে ষ্টেশন কলোনী,ফেরীঘাট কলোনীতে ও মেঘনা পাড়ের বিভিন্ন স্থাপনা ও বাসা-বাড়িতে । নির্ভরযোগ্য সূত্রে ও আজ ১৯ জানুয়ারী বৃহস্পতিবার সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, সুইপার কলোনীতে ৮/১০ বৈধ সংযোগ রয়েছে আর অবৈধ সংযোগ রয়েছে প্রায় অর্ধ শতাধিক। সব মিলিয়ে রেলওয়ের আওতাধীন প্রায় ২ শতাধিক অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ রয়েছে । আর এসব অবৈধ সংযোগ বিদ্যুৎ ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে লাইনম্যান মনিরের মাধ্যমে প্রতিটি সংযোগ কারীদের কাছ থেকে সর্ব নিম্ন ৫শ/১ হাজার ও ২ হাজার টাকা পর্যন্ত উত্তোলন করে মাসে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে উর্ধ্বতন উপ-সহকারি বিদ্যুৎ বিতরন কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল-মামুন। বিদ্যুতের সাশ্রয় ,অপব্যবহার রোধ ও লোড শেডিং মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে সরকার কাজ করলেও ভৈরবে অসাধু কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল-মামুন অবৈধ সংযোগ দিয়ে মাসের পর মাস লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে । এদিকে সরকার হচ্ছে ক্ষতিগ্রস্ত। স্থানীয় জনগন মনে করছেন এসব অসাধু কর্মকর্তাদের জন্য বিদ্যুৎ খাতে সরকার বছরের পর বছর ভর্তুকি দিচ্ছেন । তাই এসব অসাধু কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান ।
এ বিষয়ে ভৈরব রেলওয়ে বিদ্যুত বিতরন বিভাগের উর্দ্ধতন উপ-সহকারি প্রকৌশলী কথা বলতে রাজি হননি । এ বিষয়ে রেলওয়ে ঢাকা পূর্বাঞ্চলীয় জোনের বিভাগীয় বিদ্যুৎ প্রকৌশলী ফারজানা সুলতানার মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি । এছাড়াও এ বিষয়ে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলীয় জোনের চীফ বিদ্যুৎ প্রকৌশলী অজয় কুমার পোদ্দার জানান, বিভিন্ন সময়ে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয় । কিন্ত পরে আবার তারা অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে ব্যবহার করে । তবে ভৈরব রেলওয়ের আওতায় বৈধ সংযোগকারী গ্রাহকের সংখ্যা কত জানেন না এবং আবদুল্লাহ আল- মামুনের বিষয়ে কি ব্যবস্থা নেয়া হবে সে বিষয়ে কোন কথা বলেননি ।