মোশারফ হোসেন শ্যামল:
কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার মিরারচর গ্রামে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের লোকজন বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর, লুটপাট করেছে বলে অভিযোগ করেছেন ভোক্তভোগিলা। এসময় হামলার শিকার হয়েছেন অন্তত ২৫-৩০ কিশোর ও যুবক। গুরুতর আহত অবস্থায় অনেকে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে স্বজনরা জানান। গতকাল বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
ভোক্তভোগি ও স্থানীয়রা জানান, গতকাল মঙ্গলবার মিরারচর গ্রামে ফুটবল খেলার সময় কান্দাপাড়া উমরা বাড়ি পক্ষ ৪টি গোল করেন এবং মিরারচর বড় বাড়ির পক্ষ ২টি গোল করেন। এনিয়ে দুপক্ষের লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। মিরারচর বড়বাড়ির লোকজন খেলায় হেরে যাওয়ায় প্রতিপক্ষের উপর ক্ষিপ্ত হন। এ খেলাকে কেন্দ্র করে বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দেশীয় অস্ত্রেসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে কান্দাপাড়া উমরা বাড়িতে হামলা চালায়। এসময় ৯টি বাড়িঘর ভাংচুর, লুটপাট সহ বাড়িঘরের মানুষজনকে এলোপাতারি মারধর করে ২১ জনকে আহত করেন। আহতরা ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়। লুটপাট ও ভাংচুরের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থালে যায়। ভোক্তভোগিদের অভিযোগ ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা হামলাকারীদের সহযোগিতা করার কারণে প্রতিপক্ষের লোকজন হামলা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটিয়েছে।
বড়বাড়ির আশ্রাফুল আলম বলেন, ঝগড়া শুরু হলে আমিসহ গন্যমান্য কয়েকজনকে সাথে নিয়ে ঝগড়া থামাতে চেষ্টা করে ব্যার্থ হই। পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করলে পরে আমি পুলিশ ও র্যাবকে বিষয়টি অবগত করি। র্যাব পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। এ ঘটনায় বড়বাড়ির পক্ষের লোকজনও ২০ থেকে ২২ জনের মত আহত হয়েছে। আহতরা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে।
ভৈরব থানার ওসি (তদন্ত) বাহালুল খাঁন বাহারের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, মীরারচরের মারামারির ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কেউ থানায় কোন অভিযোগ নিয়ে আসেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।