জয়নাল আবেদীন রিটন, বিশেষ প্রতিনিধি:
কিশোরগন্জ জেলাধীন ভৈরব উপজেলার প্রত্নতাত্বিক জরিপ ও অনুসন্ধান বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। আজ রবিবার সকালে ভৈরব প্রেসক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সেমিনার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন প্রত্নতত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব মোঃ হান্নান মিয়া । অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলোন ভৈরব উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ মোঃ সায়দুল্লাহ মিয়া, পৌর মেয়র মুক্তিযোদ্ধা এড,ফখরুল আলম আক্কাছ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার লুবনা ফারজানা, প্রেসক্লাব সভাপতি জাকির হোসেন কাজল। চলতি অর্থবছরে ভৈরব উপজেলার প্রত্নতাত্বিক ও অনুসন্ধান কাজ সম্পন্ন হওয়াই উপজেলার প্রাচীন ঐতিহাসিক নিদর্শন চিন্হিত হয়েছে। সেমিনারে জরিপ বিষয়ক প্রতিবেদন উপস্হাপন করেন প্রত্নতত্ব অধিদপ্তরের আঞ্চলিক পরিচালক রাখী রায়। প্রতিবেদন বিষয়ক আলোচনায় বলা হয় ভৈরবে ১৪ টি প্রাচীন স্হানকে চিন্হিত করা হয়েছে। তার মধ্য ভৈরব রাজকাচারীকে প্রধান্য দিয়ে তিনটি স্হানকে প্রত্নতত্ব যাদুঘরে রুপান্তরিত করতে অনুরোধ করেন স্হানীয় নেতৃবৃন্দ ও সমাজের সুধীজন। দেড়শ বছর আগে উলুকান্দি এবং পরে কমলগন্জ নাম ছিল ভৈরবের। তারপর জমিদার ভৈরব রায়ের নামে ভৈরব নামকরণ হয় ভৈরবের। ময়মনসিংহের জমিদার কিশোর আর্য্যয্য ভৈরব রাজকাচারীতে বসে তার কর্মচারীদের মাধ্যমে খাজনা আদায় করতেন। রাজকাচারী সেই অবকাঠামো বিল্ডিংটি আজ রয়েছে। বর্তমানে উপজেলা সহকারী ( ভূমি) অফিস রয়েছে রাজকাচারীতে। প্রাচীন বিল্ডিংটির অবকাঠামো এখনও পরিবর্তন হয়নি।
প্রধান অতিথি মহাপরিচালক মোঃ হান্নান মিয়া বলেন, দেশের প্রত্ন সম্পদ, প্রত্ন নিদর্শন, ইতিহাস ঐতিহ্য সুরক্ষার ভবিষ্যত করণীয়, পরিকল্পনা গ্রহনের জন্য জরিপের মাধ্যমে প্রত্নস্হল ঐতিহাসিক অতিহ্য খোঁজে বের করে প্রত্নতত্ব অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। প্রাচীন শহর ভৈরবকে জরীপের আওতায় এনে ১৪ টি প্রাচীন নিদর্শন পাওয়া গেছে। তিনি বলেন শীঘ্রই এবিষয়ে ব্যবস্হা গ্রহন করে ভৈরবের ঐতিহ্যকে স্মৃতি হিসেবে রাখতে কয়েকটি স্হানে যাদুঘর করা হবে।