মোঃ শাহনুর, ভৈরব প্রতিনিধি ॥
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে পুর্ব শত্রুতার জের ধরে গাজী টিভির ভৈরব প্রতিনিধি এম এ হালিম ও তার পরিবারের উপর সন্ত্রাসী হামলা করেছে স্থানীয় একটি প্রবাবশালী মহল। এঘটনায় এম এ হালিম ও তার স্ত্রীসহ পরিবারের দশ সদস্য গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
জানা যায়, শুক্রবার দুপুর দুইটা দিকে এম এ হালিমের বসত ভিটা অবৈধভাবে হাতিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যে পূর্ব শত্র“তার জের ধরে প্রতিবেশী আবু সাঈদ, জসিম, আসাদ মিয়া, হামিম, মজিদ মিয়া, মোয়াজ্জেম হোসেন বাবু, শুভ মিয়া, নবী হোসেন, সুমন, মাছুম, ডিপজল, সজল মিয়া, সাব্বির, আবির, সোহান ও আফজালসহ আরো কয়েকজন পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হামলা চালায়। এসময় এম এ হালিম, তার সহধর্মীনি রেহেনা বেগম (৩৮), শিশুপুত্র সানজীদ ইসলাম(১৪), ছোট বোন রুনা বেগম(৩৮) ও তার স্বামী মিজান মিয়া(৪২), বড় ভাই মোবারক মিয়া(৪৮), বিশ্ব বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছোট বোন বিনা বেগম(২২), ছোট ভাই আবদুস ছাত্তার মিয়া (৩৫), ছোট ভাইয়ের স্ত্রী রেশমা বেগম(২৬) ও ভাতিজা বাবুল মিয়া সন্ত্রাসীদের হামলায় গুরুতর আহত হয়। পরে খবর পেয়ে ভৈরব থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে আহতদের উদ্ধার করে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। হামলার সময় সন্ত্রাসীরা নগদ পঞ্চাশ হাজার টাকাসহ চারভুড়ি স্বর্ণালঙ্কার লোট করে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেছেন আহত সাংবাদিক এম এ হালিম। এব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।
সহকর্মী আহতের খবর পেয়ে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা হাসপাতালে ছুটে যান এবং হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে গ্রেফতারের দাবি জানান।
উল্লেখ্য অভিযুক্ত আবু সাঈদ মিয়া গং পূর্ব শত্র“তার জের ধরে গত শনিবার প্রকাশ্যে এম এ হালিমকে স্বপরিবারে হত্যার হুমকী দেয়। পরে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে পরিবারের নিরাপত্তার স্বার্থে থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করেন এম এ হালিম।
এবিষয়ে ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) বাহালুল খান বাহার জানান, হামলার খবর শুনে তাৎক্ষণিক পুলিশ পাঠিয়েছি। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।