জয়নাল আবেদীন রিটন:
কিশোরগঞ্জের ভৈরবের নজরুল মিয়ার ৪৬ প্রকার স্বাদের চায়ের সুনাম ছড়িয়ে পড়ছে পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন জেলা উপজেলাসহ সারা দেশ ব্যাপী। শুধু দেশেই নয় । ভৈরবসহ পাশ্ববর্তী বিভিন্ন জেলা উপজেলা থেকে প্রতিদিন বিকেলে শিমুলকান্দি ইউনিয়নের রাজনগর চক বাজারে নজরুলের চা খেতে আসে পুরুষদের পাশাপাশি নারীরাও।
সরেজমিনে দেখা যায়, কিশোরগঞ্জের ভৈরবের শিমুলকান্দি ইউনিয়নের রাজনগর বাজারে বিকেল হতেই ৪৬ প্রকার স্বাদের নানা নামের, নানা রঙ্গের, ভিন্ন ভিন্ন স্বাদের চা পান করতে দুর দূরান্ত থেকে ছুটে আসে নজরুল ভাইয়ের ঝুপরী চায়ের দোকানে। বুলেট চা, দিল্লিাকা লাড্ড ুচা, মনপুরা চা, টকঝাল চা, মাল্টা চা, কমলা চা, আঙ্গুর চা, তেতুল চা, চকলেট চা, কাঁচা আমের চা. রশুনের চা, ঝাল কফি, জলপাই চা, আদা ঝাল চা, কাঁচা আদা চা, পায়েস চা, মসলা চা, মধু চা, কালো জিরা চা, দুধ কলা চা, জামের চা,ও বিস্কুট চা সহ ৪৬ প্রকার চায়ের সমারোহ তার দোকানে। প্রতি কাপ চায়ের রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন স্বাদ। আর এই চা পান করতে প্রতিদিন সন্ধার পর নরসিংদী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া আশুগঞ্জ, কুলিয়ারচর , বাজিতপুর, কটিয়াদীসহ বিভিন্ন জেলা উপজেলা থেকে মটর সাইকেল ও বিভিন্ন যানবাহনে করে ছুটে আসে তার চায়ের ভক্তরা। বিকাল ৪ টা থেকে রাত ১১ টা পর্যন্ত চলে তার দোকানের চায়ের আড্ডা। এতে ৫ থেকে ৬ হাজার টাকার চা বিক্রি হয় নজরুল মিয়ার দোকানে। এতে তার প্রতিদিন ১৫ শ থেকে ২ হাজার টাকা রোজী হয়। এই চা বিক্রি করে ভাগ্য বদলে গেছে নজরুল মিয়ার। সংসারে ফিরে এসেছে সচ্ছলতা। গ্রাম এলাকার দোকান বলে চায়ের দামটা একটু হওয়ায় চায়ের ন্যায্য দামটা পাচ্ছেনা বলে জানান চা দোকানি নজরুল মিয়া।
দোকানি নজরুল ইসলাম জানান, ২৪ বছর যাবত সে চায়ের দোকান চালিয়ে আসছিল। নিজের মেধা দিয়ে গত দু বছর যাবত বিভিন্ন ফল ও মসলার সংমিশ্রনে তৈরি বিশেষ চা বিক্রি করে এখন তার সংসারে সচ্ছলতা ফিরে এসেছে। দিন দিন বাড়ছে তার চায়েল সুখ্যাতি বাড়ছে চা পায়ীদের সমাগম।
রায়হান আহমেদ বলেন, আমি ভৈরব থেকে এসেছি এখানে চা পান করতে । প্রত্যতেকটি চায়ের রয়েছে আলাদা আলাদা নাম ও স্বাদ। আসলেই নজরুল ভাইয়ের ৪৬ প্রকারের চায়ের স্বাদই ভিন্ন রকম।
সরকারি কর্মচারি সাগর আহমেদ বলেন, আমি আসছি পাশ্ববর্তী গ্রাম থেকে যে টা এখান থেকে ২/৩ কিলোমিটার ডিসটেন্ঞ। আমি শুনেছি এখানে ৪০ থেকে ৫০ ক্যাটাগরির চা হয়। শুক্রবার ও রবিবার এখানে চা খেতে অনেক লম্বা সিরিয়াল থাকে। আমাকেও সিরিয়ালে থেকে অনেক পরে চা খেতে হয়েছে। এ চায়ের কোয়ালিটির কারণে অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে মানুষের কাছে।
সৌদি প্রবাসী মুরশিদ মিয়া বলেন, আমি কিছুদিন পুর্বে ভৈরবে আমার বাড়িতে এসেছি। আমি জানতে পারি এখানকার এ চায়ের কথা। তাই ভৈরব থেকে মটর সাইকেল নিয়ে এখানে চা খেতে এসেছি। আসলেই এখানকার চা অনেক সুস্বাদু।
রায়পুরা উপজেলার মো ঃ রুবেল মিয়া বলেন, আমার বাড়ি নরসিংদীর রায়পুরা। আমার নানার বাড়ি এ এলাকায়। আমি আমার নানার সাথে চা খেতে এসেছি। আমার জানা মতে নরসিংদী ও রায়পুরা থেকেও লোকজন এখানে চা খেতে আসে।