অপরাধ

ভৈরবে জোরপূর্বক জমির ধান কেটে নেওয়া ও হামলার অভিযোগে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধেপৃথক ২টি মামলা

 জয়নাল আবেদীন রিটন, বিশেষ প্রতিনিধি :

মামলার এজাহার,ভোক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসিরা জানায়, শ্রী-নগর ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান মেম্বার জাহের মিয়া, আক্তার মিয়ার নেতৃত্বে গত ১ মে সকাল ৭/৯টার দিকে বধূনগর গ্রামে সংলগ্ন ওরার খালে ধানি জমি থেকে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে উজ্জল মিয়ার ফসলি জমির ২ কানি কাচাঁ ধান কেটে নিয়েছে জাহের মেম্বার ও তার লোকজন । করোনা ভাইরাসের কারনে এমন দুঃসময় চলাকালে এমন ঝঘন্যতম কাজের জন্য এলাকায় এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠেছে ।

এ বিষয়ে ভোক্তভোগী উজ্জল মিয়া জানান, তার বাড়ি শ্রী-নগর ইউনিয়নে । তার বাড়ি থেকে অনুমান ৩ কিঃমিঃ দূরে তার ধানি জমি রয়েছে । কিন্ত ওই ইউনিয়নের পাশের বধূনগর গ্রামে জাহের মেম্বার এর বাড়ি সংলগ্ন তার ধানি জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে জাহের মেম্বারের সাথে তাদের বিরোধ চলে আসছে । এরই জের ধরে গত ১ মে জাহের মেম্বার ও তার ভাই আক্তার মিয়ার দলবল প্রকাশ্যে ২ কানি জমির ধান কেটে নিয়ে গেছে । এ বিষয়ে তিনি গত ৩ মে প্রথমে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন । পরে জাহের মেম্বার ও তার ভাই আক্তারসহ কয়েকজনকে অভিযুক্ত করে গত ৬ মে ভৈরব থানায় ১টি মামলা দায়ের করেছেন ।
এয়াড়াও বধূনগর গ্রামের কাওয়া বাড়ি মসজিদ লাগোয়া মক্তবের জন্য জায়গা লিখে দিতে সৌদি প্রবাসি সাব্বির আহমেদের পরিবারকে নানাভাবে খুন জখমের ভয়ভীতি হুমকি দিয়ে আসছে । এ ঘটনার জের ধরে সম্প্রতি হাজি মোঃ কামরুজ্জামান ওরফে নোয়াব মিয়ার ২ পুত্র ব্যবসায়ী আল-মামুনকে কুপিয়ে মারাত্নক জখম করে এবং আলমগীর কবিরের ১টি দাতঁ ভেঙে ফেলে ।
এ ঘটনায় আল-মামুনের ভাই মোখলেছুর রহমান বাদী হয়ে ভৈরব থানায় জাহের মেম্বারকে প্রধান করে ৩০ জনের নাম উল্ল্যেখ সহ আজ্ঞাত নামা আরো ২০/২৫ জনকে আসামি করে ভৈরব থানায় ১টি মামলা দায়ের করেছেন ।

এ বিষয়ে মোখলেছুর রহমান জানান, কাউয়া বাড়ি জামে মসজিদেও জন্য তার দাদা ওয়াকফ করে জমি রেজিষ্টি করে দিয়েছেন । মসজিদের সাথে মক্তবের জন্য তার বাবা ও জেঠা জমি দান করেছেন । কিন্ত তার জেঠা মারা যাওয়ায় তার চাচাতো ভাই সাব্বির সৌদি আরব থেকে দেশে এলে মক্তবের জন্য জমি লিখে দিবেন বলে এলাকার মুসল্লিদেরকে নিয়ে সভায় সিদ্ধান্ত হয় । কিন্ত জাহের মেম্বার প্রভাব খাটিয়ে জোর করে এখনি লিখে দিতে হবে বলে চাপ প্রয়োগ করে । একপর্যায়ে বাকবিতন্ডার সৃষ্টি হলে মেম্বার ও তার দলবল মেরে ফেলার হুমকি দেয় । এরই জের ধরে সম্প্রতি গত ২৪ এপ্রিল শুক্রবার আমার বাবা কামরুজ্জান অসুস্থ হয়ে পড়লে বাবাকে দেখতে ভৈরব শহর থেকে আল-মামুন ও আলমগীর কবির বাড়িতে আসে । কিন্ত তারা বাড়ি থেকে শহরে যাবার পথে মেম্বার ও তার লোকজন আগ থেকে লাঠি-সোঠা,দা বল্লমসহ ওৎ পেতে থেকে আমার বাড়ির পাশে হামলা চালিয়ে আমার ভাইদের মারধোর করে গুরুতর জখম করে ।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত জাহের মেম্বার তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে মামলা দায়ের করা হয়েছে । ধান কাটা বা মারধোরের সময় আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না । ঘঁনা সম্পর্কে আমি কিছুই জানিনা । আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য গ্রামের একটি কুচক্রী মহল আমার বিরুদ্ধে উঠে পড়ে লেগেছে ।আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *