রাসেদুজ্জামান রাসেল:
করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে কার্মে যেতে না পারা দিন মজুর ও গরীব অসহায় মানুষের পাশে দাড়ানোর জন্য ভৈরব শহরের নিউটাউনে অবস্থিত গ্রামীণ হাসপাতালের উদ্যোগে ৩ শতাধিক দিন মজুর ও কর্মহীনদের মাঝে ত্রাণ ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন। ত্রান সামগ্রী বিতরনের সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আল মামুন ও গ্রামীণ জেনারেল হাসপাতালের চেয়ারম্যান। রবিবার বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কর্মহীনদের দোয়ারে গিয়ে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ও পৌর শহরে অসহায়দের মাঝে চাল, ডাল, আলু ও সাবানসহ নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য পৌঁছে দেন হাসপাতাল কতৃপক্ষ। ত্রান বিতরনের সময় অতিরিক্ত জনসমাগম হওয়ায় ভৈরব থারর ওসির অনুরোধক্রমে হাসপাতালের লোকজন বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত বাড়ি বাড়ি গিয়ে এসকল খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেন। খাদ্যদ্রব্য প্যাকেটিংয়ের সময় গ্রামীণ হাসপাতালের সামনে এলাকার গরীব মানুষজন অনাকাংখিত ভাবে জড়ো হওয়ার ফলে সড়কে গণজমায়েতের সৃষ্টি হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তাৎক্ষণিক পরিস্থিতির সামল দেয়। এ ঘটানটিকে পুঁজি করে একটি চক্র হীন উদ্দেশ্য কিছু অনলাইন গণমাধ্যম ও ফেসবুকে অপপ্রচার করে হাসপাতালের সুনাম ক্ষুন্ন করার চক্রান্তে লিপ্ত থাকায় ঘটনার তীব্রক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। মিথ্যা ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশের কারণে দুঃখ প্রকাশ করে হাসপাতালের এক পরিচালক বলেন , ব্যক্তিগত টাকা খরচ করে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর মধ্যে আমাদের কোনো স্বার্থ নেই। এই হাসপাতালের চেয়ারম্যান একজন জনপ্রতিনিধি (উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান)। তাই, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষণে বলেছেন জনপ্রতিনিধিরা যেন অসহায়দের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সাহায্য পৌঁছে দেয়। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অনুয়ায়ী সাধ্য অনুযায়ী ত্রাণ সমগ্রী বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিতে হাসপাতালের ভিতর প্যাকেটিং করার সময় লোকজন জড়ো হয়। আমার কল্পনাও করিনি এভাবে এসে ভীর জমাবে। আমরা চাই সমাজের বিত্তবান মানুষজন যেন এই ক্রান্তি লগ্নে দেশের গরীব, দিন মজুর, অসহায় মানুষের পাশে সহযোগীতার হাত বাড়ায়।