সোহেলুর রহমান, ভৈরব প্রতিনিধি :
ভৈরবে কুখ্যাত রফিক বাহিনীর প্রধান গরু চোর রফিকুল ইসলাম রফিক (৪০) দুর্বৃত্তের হাতে খুন হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা ৩টার দিকে ভৈরব উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের টানকৃষ্ণনগরের শেষ সীমানার ডোবা থেকে লাশ উদ্ধার করে ভৈরব থানা পুলিশ। রফিক উপজেলার মধ্যেরচর এলাকার মৃত কালা কাজী মেম্বারের ছেলে।
পারিবারিক ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গরু চোর রফিক গতকাল সোমবার কিশোরগঞ্জ জেল হাজত থেকে জামিনে বের হয়ে বাড়িতে আসে। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে বাড়ি থেকে মোটর সাইকেল যোগে বের হয়। এলাকাবাসী বেলা ১টার দিকে রফিকের লাশ টানকৃষ্ণনগর এলাকার শেষ সীমানার ডোবায় পড়ে থাকতে ভৈরব থানা পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ দুপুর ৩টার দিকে লাশ উদ্ধার করে ভৈরব থানায় নিয়ে আসে। দুর্বৃত্তরা তার শরীরের বিভিন্ন অংশে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারী কুপিয়ে হত্যা করে। বাম হাতের কব্জি ও মাথার খুলি থেকে মস্তক বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে মৃত্যু নিশ্চিত করার পর দুর্বৃত্তরা রাস্তার পাশের ডোবায় লাশ ফেলে পালিয়ে যায়।
রফিকের ভাই ফেরদৌস ও ভাতিজা অপু জানায়, সোমবার রফিককে কিশোরগঞ্জ জেল হাজত থেকে জামিনে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে মুরগির খামার থেকে মোটরসাইকেল যোগে বাড়ি ফিরছিল। তখন আমার ভাইকে পূর্ব শত্র“তার জের ধরে পরিকল্পিতভাবে খুন করে। তাদের দাবি গত ৩ বছর পূর্বে জমি নিয়ে মধ্যেরচর এলাকার গোলাপ মিয়ার সাথে বিরোধ চলছিল। সালিশ দরবার হলেও এর কোন মীমাংসা হয়নি। এ জমি সংক্রান্ত জের ধরেই কৃষ্ণনগর এলাকার লাল মিয়া তার ছেলে তানভীর ও মধ্যেরচর এলাকার লতিফ হাজী, তার ছেলে আল আমিন, গোলাপ মিয়া, ফারুক মিয়া, রফিকসহ তাদের সাঙ্গপাঙ্গরা মিলে পরিকল্পিতভাবে দুপুর ১২টা থেকে ১টার ভিতর এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে।
ভৈরব থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) বাহালুল খান বাহার জানান, রফিকের বিরুদ্ধে ভৈরব থানায় একাধিক গরু চুরি ও ডাকাতি মামলা রয়েছে। সে ভৈরব থানায় কুখ্যাত গরু চোর হিসেবে পরিচিত। কে বা কারা তাকে হত্যা করেছে এখনও কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এসেছে। এ বিষয়ে তার পরিবারের লোকজন কোন অভিযোগ করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ মর্গে পাঠানো হয়েছে।