জয়নাল আবেদীস রিটন , বিশেষ প্রতিনিধি :
কিশোরগঞ্জের ভৈরব থানার চান মিয়া নামে এক দারোগা করোনা ভাইরাস সংক্রমণে আক্রান্ত হয়েছেন। এঘটনায় আক্রান্ত পুলিশ সদস্যের সংস্পর্শে আসা ১৫পুলিশ সদস্য ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাচঁজন চিকিৎসককে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়াও ভৈরব উপজেলাকে লক ডাউন ঘোষনা করেছেন স্থানীয় প্রশাসন। শুক্রবার বিকেলে উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক জারিকৃত এক গণ-বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। পাশাপাশি পরবর্তী নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত স্থানীয় শৃঙ্খলা বজায় রাখতে কিশোরগঞ্জ জেলার ৫০জন পুলিশ সদস্যের একটি টিম ভৈরবে দায়িত্ব পালন করবেন বলেও জানা গেছে। ভৈরবে এখন পর্যন্ত ১৭জনের নমুনা পরীক্ষা করে একজনকে করোনা সংক্রমণে শনাক্ত করা হয়েছে।
জানা যায়, গত ২০জানুয়ারি কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রাম থানা থেকে বদলী হয়ে ভৈরব থানায় যোগদান করেন এস আই চান মিয়া। পরে কয়েকদিন যাবৎ শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পরেন তিনি। জ্বর, মাথা ব্যাথা করোনা ভাইরাস সংক্রমণের উপসর্গ থাকায় এস আই চান মিয়ার প্রয়োজনীয় নমুনা সংগ্রহ করে করোনা পরীক্ষার জন্য আইইডিসিয়ারে পাঠানো হয়। পরীক্ষা শেষে আজ শুক্রবার ভৈরবসহ কিশোরগঞ্জ জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে পাঠানো নমুনা পরীক্ষা শেষে ভৈরব থানার এসআই চান মিয়াসহ ৬জনের রিপোর্ট পজেটিভ বলে ঘোষনা করেন আইইডিসিয়ার। রিপোর্ট প্রকাশের পর পর ভৈরবে আক্রান্ত পুলিশ সদস্যের সর্বশেষ ডিউটিস্থল শম্ভপুরসহ পৌর শহরের কমলপুর, চন্ডিবের, চকবাজার, উপজেলার আকবর নগর বাজার, কালিকাপ্রসাদ ইউনিয়ন ও শিবপুর ইউনিয়নকে অবরুদ্ধ ঘোষনা করা হয়। পাশাপাশি এসব এলাকায় চিকিৎসা, খাদ্যদ্রব্য সরবরাহ, সংবাদপত্রসহ সব ধরনের জরুরি পরিসেবাও বন্ধ ঘোষনা করা হয়েছে। পাশাপাশি পুরো উপজেলায় সন্ধ্যা ৬টার পর ঘরের বাইরে বের হওয়া নিষিদ্ধ ঘোষনা করা হয়েছে।
এছাড়াও নির্দেশনা অমান্য করলে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন ভৈরব উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা লুবনা ফারজানা।