ভৈরব প্রতিনিধি:
ভৈরবে নিহতদের পরিবারে থামছে না শোকের মাতম। জড়িত মানব পাচারকারীদের আইনের আত্ততায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন নিহতদের স্বজন সহ ভোক্তভোগীরা। প্রিয়জন হারানোর বেদনা পরিবারের বুকফাটা কান্নায় ভাড়ী হচ্ছে ওইসব এলাকার বাতাস। এই মূহুর্তে স্বজন হারাদের একটাই দাবী প্রিয়জনের লাশ দেশে ফিরিয়ে আনা সহ জড়িত এই দেশীয় দালাল ও তাদের সহযোগীদের আইনের আত্ততায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা। শ্রীনগর এলাকার মানব পাচারকারি তানজিরুল ৮ বছর ধরে লিবিয়ায় বসবাস করছে । ঐ সুবাধে সে এ পর্যন্ত ভৈরব থেকে অনেক কিশোর ও যুবক পাচারকারি তানজিরুল তাদের অল্প টাকায় এবং অল্প সময়ে ইতালীতে পাঠাবে এমন প্রস্তাবে অনেকেই বছর দেড় বছর পুর্বে প্রথমে লিবিয়ায় যায়। সেখানে যাবার পর অনেকেই লিবিয়ায় পাচারকারিদের হাতে জিম্মি হয়ে বন্ধী জীবন যাপন করছেন। অপহরণকারিদের কাছ থেকে সন্তানদের বাচাতে বাধ্য হয়ে নিজের শেষ সম্ভল টুকুও বিক্রি করে তাও যদি পুর্ণ না হয় তাহলে সুধি ্ঋণ করে টাকা পাঠাতে হয় অপহরনকারিদের কাছে। ভৈরবে এমন অসংখ্য লোক রয়েছে যা গত দু বছরের মধ্যে সন্তানকে ফিরিয়ে আনতে গিয়ে ভিটেমাটি বিক্রি করে নিস্ব হয়ে দেনার দায়ে জর্জড়িত।
ভৈরবে বিভিন্ন গ্রামে প্রায় অর্ধশতের উপড়ে মানব পাঁচারকারী চক্র সক্রিয় রয়েছে যাদের নেটওয়ার্ক অনেক বিস্তৃত। নিরিহ পরিবাবের ছেলেদের কম টাকায় লিবিয়ায় হয়ে ইতালী নেত্তয়ায় প্রলোভন দেখিয়ে লিবিয়ায় নিয়ে যায়। পড়ে লিবিয়ার নিয়ে তাদের জিম্মি করে পরিবারের নিকট মোটা অংকের টাকা দাবী করা হয়। ছেলে কে বাচাঁতে অনেকে ভিটেমাটি বিক্রি করে টাকা দিতে বাধ্য হয়। এ ভাবে অনেক পরিবার সর্বশান্ত হয়ে পথে বসেছে। দালালদের মূল পেশায় হচ্ছে জিম্মি করে মোটা অংকের টাকা আদায় করে নিজেরা লাভবান হওয়া।
ভৈরবের গনমাধ্যমকর্মী জয়নাল আবেদীন রিটন জানান, আমি একজন ভুক্তভোগী। ভৈরবের জগন্নাথপুর গ্রামে রয়েছে বেশ কয়েকজন মানব পাচারকারির এশটি চক্র। তারা খুবই প্রভাবশালী। আমি নিজে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ২০১৮ সালে দালাল খোকনের নামে ভৈরব থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোন প্রতিকার পাইনি। দালালদের বিষয় নিয়ে তখনকার ওসির ভুমিকা ছিল রহস্য জনক। প্রশাসনের নীরব ভুমিকার কারণে অনেক ভুক্তভোগী থানায় অভিযোগ দিতে যেতে চায়না।
২৬ মে লিবিয়ায় পাচারকারিদের গুলিতে নিতহতদের ঘটনায় শ্রীনগরের দালাল তানজিরুল জড়িত বলে শ্রীনগর, রসুলপুর ও মৌটুপির নিহতের পরিবার দাবী করছে। তারা জানায় আমাদের ছেলে মারা যাবার পেছনে তানজিরুলের হাত রয়েছে। আমরা সরকারের কাছে তানজিরুল দালালের সুষ্ট বিচার চাই। সন্তানের লাশ দেখতে পারি আর না পারি আল্লাহ যেন তানজিরুলের বিচারটা আমাদের দেখিয়ে মৃত্যু দেন।
তানজিরুলের বড় ভাই বাচ্চু মিয়া দাবী করেন তার ভাই কোন দালালীতে জড়িত নয় বং তার মাধ্যমে কোন টাকা পয়সা লেনদেন হয় নাই। তার ভাই পরিস্থিতির স্বীকার। ভৈরবের জগন্নাশপুর,শম্ভ
ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ মো ঃ শাহিন বলেন, ভৈরবের দালালদের ব্যাপারে খোজ খবর নেয়া হচ্ছে। উধ্বতন কর্তৃপক্ষে নির্দেশ মোতাবেক আইগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।