নিজস্ব সংবাদদাতা:
ব্রাক্ষণবাড়িয়ায় স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রীর ধর্ষণ মামলার অভিযোগ উঠেছে। মামলার আসামি স্বামী জাহাঙ্গীর আলম পিতা আতাহার আলী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর থানাধীন ভূবন গ্রামের এক যুবতী, স্বামীর বিরুদ্ধে করেছেন ধর্ষণ মামলা। ঘটনার বিবরনে জানাযায়- মানবাধিকার সংস্থা- আইন ও মানবাধিকার সুরক্ষা ফাউন্ডেশন এর দ্বারস্থ হয়ে এবিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন স্বামী মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, পিতা আতাহার আলী,গ্রাম খাদরাইল, পোস্ট দাউদপুর থানা বিজয়নগর জেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়া। এ ব্যাপারে আইন ও মানবাধিকার সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক এম উজ্জ্বল হোসেন মুরাদ এর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন- এমন একটা অভিযোগপত্র পেয়েছি, প্রাথমিক সত্যতা যাচাই-বাছাইয়ের জন্য এসাইনমেন্ট অফিসার কে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে, লিখিতভাবে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন পাওয়ার পরে প্রকৃত বিষয়টি যানা যাবে। ভুক্তভোগী জাহাঙ্গীর আলমের দাবি সাবিনা আক্তার,পিতা জানু মিয়া, গ্রাম ভুবন মাদ্রাসা পাড়া, থানা নাসিরনগর জেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সহিত ইসলামী শরীয়া মোতাবেক সে আমার বিবাহিত স্ত্রী, তাহার সাথে আমার পারিবারিক ভাবে বিবাহ সম্পন্ন হয়। আমার একটি সাত বছরের পুত্র সন্তান আছে তার নাম সামি,এ ব্যাপারে মামলার বাদী মেয়ের বাবা জানু মিয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমার মেয়েকে জাহাঙ্গীর আলম এর কাছে বিবাহ দিয়েছি,বিবাহর কিছু দিন পর জাহাঙ্গীর আলম বিদেশে চলে যায় তাদের কি নিয়ে দন্ড হয়েছে,কেন মামলা করছে তা বলতে পারব না। মামলার বাদী সাবিনা আক্তারের খালু মোঃ শহীদ আলী, সাবিনার খালা আশেদা বেগম, বিবাহের উকিল বাপ জুবায়ের আহমেদ পিতা হায়দার আলী, বিবাহ পড়ানো মসজিদের ইমাম জনাব মোঃ আব্দুল কাদির পিতা মোঃ কামাল উদ্দিন, বিবাহের সাক্ষী জজ মিয়া পিতা মৃত সুরত আলী ,ভুবন এলাকার নির্বাচিত চেয়ারম্যান আক্তার হোসেন সহ সকলে ই বিবাহর কথা স্বীকার করেন, মসজিদের ইমাম জনাব মোঃ আব্দুল কাদির এর কাছে জানতে যাওয়া হয় নিকাহনামা রেজিস্টার কাজী ছাড়া আপনি বিবাহ পড়াতে পারেন কিনা, জবাবে তিনি বলেন এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ নির্বাচিত সদস্যরা আমাকে বিবাহ পড়াতে বলে তাদের অনুরোধে বিবাহ পড়াতে বাধ্য হয়েছি। উভয় পক্ষের লোকই জাঁকজমক হবে উপস্থিত ছিল। জাহাঙ্গীর আলমের পিতা আতাহার হোসেনের দাবি আমাদের পরিবারটা ধার্মিক পরিবার, বিবাহর দিন রাতে সব কিছু লিখে পড়ে বিবাহ রেজিস্ট্রি করার খরচ দশ হাজার টাকা মেয়ের বাবা আমার বিয়াই কে দেই তিনি বলছেন আপনারা চিন্তা করবেন না সময় মত রেজিস্ট্রি হয়ে যাবে এ বিষয়ে আমার উপরে ছেড়ে দিন, বিবাহের কিছুদিন পর গর্ভবতী হয় আমার পুত্রবধু সাবিনা আক্তার, আমার নাতি ছয় মাসের গর্ভে থাকা অবস্থায় আমার ছেলে জাহাঙ্গীর আলম বিদেশ চলে যান, বিদেশ যাওয়ার পরে, আমার নাতি দুনিয়ায় আসার পরেও আমার পুত্রবধূ আমার বাড়িতে ছিল। আমার ছেলের সাথে কি নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি হয় বলতে পারব না, এলাকার কিছু নারী লোভী কুচক্র মহলের প্রচারণায় পড়ে আমার পুত্রবধূ আমার ছেলের নামে কোটে একটি মিথ্যা মামলা করেন। এ বিচার আল্লাহর উপর ছেড়ে দিলাম, আমি আমার নাতি ও পুত্রবধূকে ঘরে আনতে চাই। এ ব্যাপারে মামলার বাদী সাবিনা আক্তার এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন- তার সাথে আমার বিবাহ হয় নাই সে জোর করে আমাকে ধর্ষণ করেছে ধর্ষণের ফলেই আমার পেটে বাচ্চা হয়েছে তাই আদালতে মামলা করেছি, এ বিষয়ে নিষ্পত্তি করতে চাইলে ডাক্তার রফিক জামাল ভাইয়ের সাথে কথা বলুন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার একাধিক ব্যক্তি বলেন একটি স্বার্থান্মেসী মহল টাকার বিনিময়ে মামলার বিষয় নিষ্পত্তি করতে চেয়েছিলেন তাদের দাবীকৃত পাঁচ লক্ষ টাকা দেয়ার ব্যাপারে অসম্মতি জানায় ছেলের বাবা। যার জন্য কোট পর্যন্ত জড়িয়েছে। মামলার বিষয় তথ্য যাচাই করতে গেলে জানা যায় ১৯ শে ফেব্রুয়ারি 2017 ইংরেজি ব্রাহ্মণবাড়িয়া নোটারী পাবলিকের কার্যালয় একটি হলফনামা দেন এবং সেখানে তিনি বলেন ধর্ষনের বিষয় থানায় মামলা করতে গেলে, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামলা না নিয়ে কোর্টে যাওয়ার পরামর্শ দেন, বিজ্ঞ আদালতে হলফনামার কাগজ জমা দিয়ে মামলার আবেদন করলে, বিজ্ঞ বিচারক নাসিরনগর থানা কে মামলাটি রেকর্ড করে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ প্রদান করে। সে মোতাবেক মামলাটি নাসিরনগর থানায় রেকর্ড হয়। এ সময় মামলার আসামি বিদেশে অবস্থানরত ছিলেন। ছেলের বাবা আতাহার আলীর দাবি কিছু অসাধু ও কুচক্রী মহল স্থানীয় নামে মাত্র কিছু রাজনৈতিক পরিচয়ধারীর দ্বারা প্রভাবিত হয়ে আমার ছেলের বিরুদ্ধে চার্জশিট প্রদান করা হয়েছে। আপনার ছেলের বিয়ে রেজিস্ট্রি করলেন না কেন জবাবে তিনি মেয়ের বাবা জানু মিয়াকে দায়ী করেন এ বিষয়ে কোন শুধু উত্তর দিতে পারেননি।