আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিশ্বের সবচেয়ে কমসংখ্যক নারী মদ পান করে বাংলাদেশে। দেশটির শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ নারী মদ পান করে বলে একটি বৈশ্বিক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার চিকিৎসা বিষয়ক সাময়িকী দ্য ল্যানসেটে প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, যে কোনো পরিমাণ মদপানই স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। মাঝে মাঝে স্বল্প পরিমাণ মদ পান স্বাস্থ্যের জন্য ভালো বলে আগে যে কথা বলা হতো তা সঠিক নয়্।
যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটন পরিচালিত ‘গ্লোবাল বার্ডেন অব ডিজিজ স্টাডি’ শীর্ষক প্রতিবেদনে মদ পানের কারণে অসুস্থতা ও মৃত্যুর বৈশ্বিক চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, প্রতি বছর বিশ্বে ২৮ লাখ লোকের মৃত্যু হয়ে মদ পানজনিত কারণে। ২০১৬ সালে বিশ্বের ১৫ থেকে ৪৯ বছর বয়সী নারী ও পুরুষের অসুস্থতা ও অকালমৃত্যুর জন্য মদপান দায়ী। এই সংখ্যা বিশ্বের মোট মৃত্যুর ২০ শতাংশ।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, মদ পানের কারণে বয়স ৫০ পেরুলে সবচেয়ে বেশি ক্যান্সারের ঝুঁকি থাকে। এর আগের এক গবেষণায় দেখা গেছে, যুক্তরাজ্যের প্রতি ১৩ জনে একজনের স্তন ক্যান্সার হয় মদপানজনিত কারণে। এবারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বের পঞ্চাশোর্ধ নারীদের মধ্যে ২৭ দশমিক ১ শতাংশ এবং পুরুষদের মধ্যে ১৮ দশমিক ৯ শতাংশের ক্যান্সারে মৃত্যু হয় মদ পানের অভ্যাসের কারণে। আর মদ পানের কারণে বিশ্বে যক্ষায় ১ দশমিক ৪ শতাংশ, সড়ক দুর্ঘটনায় ১ দশমিক ২ শতাংশ এবং নিজ দেহের ক্ষতির মাধ্যমে মৃত্যু হয় ১ শতাংশ তরুণের।
প্রতিবেদনটিতে দেখানো হয়েছে, বিশ্বের পুরুষদের সবচেয়ে বেশি মদ পানের অভ্যাস ডেনমার্কে। দেশটির ৯১ দশমিক ১ শতাংশ পুরুষ মদ পান করে। আর সবচেয়ে কমসংখ্যক পুরুষ মদ পান করে পাকিস্তানে। দেশটির মাত্র শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ পুরুষ মদপান করে। নারীদের বেলায় ডেনমার্কই এই তালিকার শীর্ষে রয়েছে। দেশটির ৯৫ দশমিক ৩ শতাংশ নারী মদ পান করে। আর সবচেয়ে কমসংখ্যক নারী মদ পান করে বাংলাদেশে। এদেশের শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ নারী মদপান করে বলে প্রতিবেদনটিতে জানানো হয়েছে।