নিজস্ব প্রতিবেদক: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, বর্তমানে বাংলাদেশে ১১ লাখের মতো রোহিঙ্গা নাগরিক রয়েছে। জোর করে রাখাইন থেকে রোহিঙ্গাদের পাঠানো হচ্ছে। ওই সময় যদি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বর্ডার খুলে না দিতেন তাহলে নাফ নদী রক্তে লাল হয়ে যেতো।
শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর একটি হোটেলের বলরুমে আয়োজিত মানবপাচার প্রতিরোধ বিষয়ক ‘রিজিওনাল কনফারেন্স’-এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।
জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থা আইওএম এর সহযোগিতায় ‘কমব্যাটিং ট্র্যাফিকিং: রিপেট্রিয়েশন অব ভিকটিমস অব ট্র্যাফিকিং’ শীর্ষক এ সেমিনারের আয়োজন করে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ব্রিটিশ আমল থেকেই বাংলাদেশে রাখাইন রাজ্যের রোহিঙ্গাদের জোর করে এ অঞ্চলে পাঠানো হচ্ছে। বর্তমানে ১১ লাখের মতো রোহিঙ্গা নাগরিক বাংলাদেশে রয়েছে। জোর করে রাখাইন থেকে রোহিঙ্গাদের পাঠানো হচ্ছে। ওই সময় যদি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বর্ডার খুলে না দিতেন তাহলে নাফ নদী রক্তে লাল হয়ে যেতো।
রোহিঙ্গাদের অন্যতম চ্যালেঞ্জ বেঁচে থাকা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ২০১৫ সালে রোহিঙ্গারা নৌকা দিয়ে বিদেশে যাওয়ার যারা চেষ্টা করছিল।সেসব ঘটনা অনেক আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। তখনকার বেশিরভাগই ছিলেন রোহিঙ্গা নাগরিক। এখনও যারা নৌপথে বিদেশ যাওয়ার চেষ্টা করছেন তাদের ৮০ ভাগই রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী।
ভারতের আদালত থেকে যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত বাদল ফরাজি কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভারতের আদালত থেকে যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত বাদল ফরাজিকে বাংলাদেশে আনা হলেও তিনি কারাগারে বন্দি রয়েছেন।
তিনি বলেন, বাদল ফরাজির বিষয়টা নিয়ে একটি জটিলতা রয়েছে। এখন একটাই পথ খোলা রয়েছে রাষ্ট্রপতি যদি তাকে নির্দোষ ঘোষণা করেন, তাহলেই তিনি মুক্তি পাবেন।
অনুষ্ঠানে আইওএম বাংলাদেশের প্রধান গিওরগি গিগাউরি, সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক, অ্যাটসেক ইন্ডিয়ার ন্যাশনাল কো-অর্ডিনেটর মানবেন্দ্রনাথ মণ্ডল, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক উপস্থিত ছিলেন।