ডেস্ক: নিউজ:
জাতিসংঘ পুলিশ সামিটে যোগ দিতে নিউইয়র্ক সফররত বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক-আইজিপি ড. বেনজির আহমেদের সাথে সাক্ষাত করেছেন যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু পরিষদের নেতৃবৃন্দ। গত রোববার সকালে নিউইয়র্কের ওয়েস্টচেস্টার কাউন্টির হোয়াইট প্লেইন এলাকার “দি ওপাসওয়েস্টচেস্টা” হোটেলে গিয়ে দেখা করেন নেতৃবৃন্দ। এসময় যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি ড. রাব্বি আলম, সংগঠনের সহ-সভাপতি আব্দুল হাই মিয়া, ড. আশীষ কুমার রায়, সংগঠনের নির্বাহী সদস্য ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে মুক্তিবাহিনীর ২ নং সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার এবং ‘কে-ফোর্স’-এর সর্বাধিনায়ক খালেদ মোশাররফ বীর উত্তম এর ভাতিজি ফারজানা মোশাররফ, মাহমুদা মুস্তাকিমা রুবী ও মিশিগানের বিশিষ্ট ব্যবসায়ি সাকেরউদ্দীন সাদেক উপস্থিত ছিলেন।
বঙ্গবন্ধু পরিষদের নেতৃবৃন্দের সাথে আইজিপি ঘন্টাব্যাপী আলোচনায় দেশ এবং প্রবাসের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। এসময় আইজিপি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার জন্য প্রত্যেকের নিজ নিজ অবস্থান থেকে দেশের জন্য কাজ করার আহবান জানান। সরকার ও দেশের বিরুদ্ধে যারা ষড়যন্ত্র করছে প্রবাসে বসে তাদের প্রতিহত করতে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কাছে তাদের ষড়যন্ত্রমূলক কর্মকাণ্ড তুলে ধরার আহবান জানান। আইজিপি বলেন, প্রবাসের প্রত্যেক বাংলাদেশী একেকজন দেশের দূত। তাই বিদেশীদের কাছে দেশের সফলতা এবং ভালো দিকগুলো তুলে ধরতে হবে। বঙ্গবন্ধু পরিষদের নেতৃবৃন্দ এসময় দেশের জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি ড. রাব্বি আলম এসময় আইজিপিকে অবহিত করেন যে, গত বছর ডিসেম্বরে তাকে সহ র্যাবের ৬ কর্মকর্তাকে যুক্তরাষ্ট্র সরকার নিষেধাজ্ঞা জারি করার সাথে সাথেই এই সংগঠনের পক্ষ থেকে ওয়াশিংটনে ক্যাপিটাল হাউজের সামনে প্রথম প্রতিবাদ করে এবং নিউইয়র্কে সংবাদ সম্মেলন করে। এসব প্রতিবাদ সভায় সংগঠনের সহ-সভাপতি আব্দুল হাই মিয়া ও সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম চৌধুরী তুহিন সহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
পরে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৩৫জন কংগ্রেসম্যান, সিনেটর, টম রেনটস হিউম্যান রাইটস কমিশন এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে চিঠি লিখে ওই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আবেদন জানায়। সংগঠনের পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কাছে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়ে নিয়মিত যোগাযোগ অব্যাহত আছে বলেও আইজিপিকে জানান নেতৃবৃন্দ।
ড. রাব্বি আলম আরো জানান, আলজাজিরায় বাংলাদেশ সরকার, প্রধানমন্ত্রী ও সাবেক সেনাবাহিনী প্রধানের নামে বিতর্কিত রিপোর্ট করার জন্য তিনি যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে ৫শ’ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণের মানহানির মামলা দায়ের করেন। মামলাটি আদালতে নথিভুক্ত হয়েছে এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সমন জারি করা হয়েছে।