বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের পরিবার খুন, হত্যা এবং ষড়যন্ত্রের জনক বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বুধবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে বরিশাল সড়ক জোন, বিআরটিসি, বিআরটিএ কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুর ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন জিয়াকে নাকি ছোট করা হচ্ছে। আমি তার কাছে জানতে চাই, বঙ্গবন্ধু হত্যার পর মুশতাক সরকারের প্রধান সেনাপতি কে হয়েছিল? বঙ্গবন্ধুর হত্যকারীরা সাক্ষাৎকারে বলেছেন, বঙ্গভভনের একটি কক্ষে জিয়ার সঙ্গে খুনিদের কথা হতো, দেখা হতো। খুনিদের দূতাবাসে চাকরি কে দিয়েছিল? হত্যার বিচার বন্ধে মুশতাক সরকারের ইন্ডেমনিটি অধ্যাদেশ পঞম সংশোধনীর মাধ্যমে কে সংবিধানে ঢুকিয়েছিল।
তিনি বলেন, সত্য কথা বললে ছোট করা হয়। খুনি আর খুনির মদদদাতা এবং সুবিধাভোগীও সমান অপরাধী। শুধু জিয়াই নয়, মুফতি হান্নান, এর সাক্ষেও উঠে এসেছে ২১ আগস্টের মাস্টারমাইন্ড হাওয়া ভবনের তারেক জিয়া। এদেশের রাজনীতিতে খুন, হত্যা, ষড়যন্ত্রের জনক জিয়া পরিবার। খুনিদের খুনিইতো বলবে জনগণ। সত্য কথা শুনতে আপনাদের এত গাত্রদাহ কেন?
স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠক স্বাধীনতার ঘোষক হতে পারে না মন্তব্য করে সেতুমন্ত্রী বলেন, জিয়া ইতিহাসের ফুটনোট মাত্র। ফুটনোট কখনো ইতিহাসের নায়ক হতে পারে না। ১৫ আগস্ট ও ২১ আগস্টের মাস্টারমাইন্ড বিএনপি। একুশে আগস্টের রক্তস্রোত এবং হত্যাকাণ্ডে অন্যদিকে ঘুরাতে জজমিয়া নাটক আপনারাই সাজিয়েছেন। আলামত নষ্ট করে ধামাচাপা দিতে চেয়েছেন। পাঠ্যপুস্তক থেকে পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুকে নির্বাসনে দিয়েছেন। পাবলিক মিডিয়ায় বঙ্গবন্ধু হারিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু ইতিহাস চলে নিজস্ব গতিতে। অপরাধীদের এক সময় ইতিহাসের কাঠগড়ায় দাঁড়াতেই হয়। ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সত্য এই যে, ইতিহাস কাউকে ক্ষমতা করে না।
করোনা পরিস্থিতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে তুলনা করলে বাংলাদেশে করোনার সংক্রমণ এখনো একটি নির্দিষ্ট পর্যায়ে স্থির হয়ে আছে বলে মনে করছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় আক্রান্তের সংখ্যা এবং আক্রান্তের সঙ্গে মৃত্যুর আনুপাতিক হার অন্যান্য দেশের চেয়ে তুলনামূলকভাবে কম। তবে এতে আত্মতুষ্টির কোনো কারণ নেই। আমরা একটি মৃত্যুও প্রত্যাশা করি না। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন নমুনা পরীক্ষা কম হচ্ছে বলে আক্রান্তের সংখ্যা কম ধরা পড়ছে। অনেকে আক্রান্ত হলেও শরীরের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। আবার অনেকে লক্ষণ নিয়েও পরীক্ষা করাচ্ছেন না, এমন অভিযোগও পাওয়া যাচ্ছে।
‘জীবন-জীবিকার প্রয়োজনে বের হলে অবশ্যই মাস্ক পরিধান করতে হবে। আমাদের অভ্যাসের পরিবর্তন ঘটিয়ে তা স্বাস্থ্যবান্ধব করতে হবে। প্রতিকার নয়, এ ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে প্রতিরোধ ব্যবস্থায় অধিক মনযোগ দেওয়াই সর্বোত্তম কৌশল।’