এ. আর. মুশফিক : অলস দুপুরে বিছানায় একটু গা এলিয়ে ঘুমাতে চান অনেকেই। দুপুরের খাবার সেরে আলস্য পেয়ে বসে শরীরে। কিন্তু এখন যান্ত্রিক জীবনে কাজের চাপে ওই সুযোগটা আর তেমন পাওয়া যায় কি?
অনেকে বলেন, দুপুরে ঘুমানো শরীরের জন্য ভালো না। তবে গবেষণায় দেখা গেছে, দুপুরে পরিমিত বিশ্রাম স্বাস্থ্যের জন্য উপকারি। ইউনিভার্সিটি অব পেনসিলভেনিয়ার সাইকোলজির প্রফেসর ফিলিপ গেরমান জানিয়েছেন, দুপুরের অল্প সময়ের ঘুম শুধু শরীরের আলস্যই দূর করে না, পাশাপাশি একজন মানুষের সার্বিক কাজ করার সক্ষমতা, সৃজনশীলতা যেমন বাড়ায়, তেমনি মেজাজও ভালো করে।
এছাড়া গবেষকরা আরো মনে করছেন, দুপুরের অল্প সময়ের বিশ্রাম দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দিতে পারে ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে পারে। তবে যদি দুপুরে অতিরিক্ত ঘুমানোর অভ্যেস গড়ে উঠে, তাহলে তা রাতের ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাবে বলেও সতর্ক করেছেন গবেষকরা।
দুপুরে যতোটুকু সময় ঘুমানো যায় : দুপুরে ১৫ থেকে ৩০ মিনিট ঘুমালেই আপনার আলস্য কেটে যেতে পারে। তবে যদি মনে হয় মানসিকভাবে খুব দুর্বলতা অনুভব করছেন আপনি, তাহলে ৯০ মিনিটের মতো একটা সংক্ষিপ্ত ঘুম দিতে পারেন। এর কারণ হলো তার চেয়ে বেশি সময় ঘুমালে গভীর স্তরের ঘুমে চলে যাবেন আপনি, যার ফলে ঘুম থেকে জেগে উল্টো মাথা ঝিম ঝিম, অস্বস্তিবোধ আরো বেড়ে যেতে পারে।
ব্যায়ামের পরপরই ঘুম নয় : গবেষকরা আরো বলছেন, দুপুরে ও রাতে ঘুমানোর আগে ব্যায়াম করা উচিত না। কারণ ব্যায়াম মস্তিষ্ককে উদ্দীপ্ত করে, এতে করে ঘুমানো কঠিন হয়ে পড়ে। তাই ব্যায়ামের অন্তত ২ ঘণ্টা পর ঘুমাতে যাওয়ার কথা ভাবতে হবে আপনাকে। আর দুপুরে ঘুমানোর ব্যাপারে নির্দিষ্ট রুটিন মেনে চললে উপকার পাওয়া যায়। কারণ এতে শরীর বুঝতে পারে কখন ঘুমিয়ে কখন জেগে উঠতে হবে।
সবার জন্য দুপুরের ঘুম না : একটা বিষয় অবশ্যই মনে রাখা উচিত- যদি দুপুরে ঘুমানোর তাগিদ আপনি অনুভব না করেন, তাহলে সে চেষ্টা না করাই ভালো। কারণ গবেষণায় আরো জানা গেছে, প্রায় ৫০ শতাংশ মানুষের দুপুরের ঘুম প্রয়োজন হয় না। যদি আপনিও মনে করেন দুপুরে ঘুমানো জরুরি না, তাহলে ধরে নিতে পারেন আসলে আপনার শরীর এমনিতেই চাঙ্গা আছে।
তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া