জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক: গণআন্দোলন এবং ভোটযুদ্ধ- এই দুই পদ্ধতিতে হেঁটে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারকে হটাতে চায় বিএনপি, এমন কর্মপরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন দলটির নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
শনিবার রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে এ কথা জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য।
তিনি বলেন, স্বৈরাচারী সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরানোর দুইটি পথ আছে- একটি হলো গণআন্দোলন, অন্যটি ভোটযুদ্ধ। এই দুইভাবে বর্তমান সরকারের পতন ঘটানো হবে।
‘ভোটযুদ্ধের আগে আমাদের আন্দোলন করতে হবে। গণআন্দোলনের মাধ্যমে নির্বাচনকালীন সরকার, সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্বাচন এবং সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি আদায়ে বাধ্য করা হবে’, বলেন প্রাক্তন এই মন্ত্রী।
‘সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ-ভাসানী)।
খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘যখন অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হয় তখন সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রয়োজন হয়। আমাদের সুশীলসমাজ, প্রতিবেশী রাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ সকলে চায় একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। এই অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করতে হলে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে। কারণ, খালেদা জিয়া ও ২০ দলের অংশগ্রহণ ছাড়া বাংলাদেশে কোনো অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হতে পারে না।’
বরিশাল, রাজশাহী ও সিলেটের সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপির নেতাকর্মীদের নির্বিচারে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন বিএনপির এই নেতা।
‘তিন সিটিতে ওয়ারেন্ট ছাড়া বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করার ক্ষেত্রে আদালত ও ইসির নিষেধাজ্ঞা থাকলেও গ্রেপ্তার চলছে। পুলিশ বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করে অন্য জেলায় গ্রেপ্তার দেখাচ্ছে। পুলিশ সেখানে ইসি ও উচ্চ আদালতের কথা মানছে না’, বলেন খন্দকার মোশাররফ।
খনি থেকে কয়লা চুরির ঘটনার প্রসঙ্গ তুলে বিএনপির অন্যতম এই নীতিনির্ধারক বলেন, ‘লাখ লাখ টন কয়লা উধাও হয়ে গেল। এটা তো একটা ব্রিফকেসে করে নিয়ে যাওয়ার মতো কোনো জিনিস না। প্রধানমন্ত্রী এই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী। তিনি ও প্রতিমন্ত্রী কেউ এ বিষয়ে কোনো কথা বলছেন না। এর মানে হলো- তাদের মধ্যে কোনো চেইন অব কমান্ড নেই।’
সংগঠনের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আজহারুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা জহির উদ্দিন স্বপন, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লুৎফর রহমান প্রমুখ।